ভারতে এবং চিনের বেশ কিছু মধু প্রস্তুতকারক সংস্থা মধুতে ভেজাল অর্থাৎ চিনির রস মিশিয়ে বিক্রি করছে এমন অভিযোগ করল দিল্লির পরিবেশ গবেষণা সংস্থা 'সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট' (সিএসই)। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছে সংস্থা বেশিরভাগ নামী প্রতিষ্ঠানের মধুতেই ভেজাল রয়েছে। যদিও মধুতে ভেজাল পাওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়।
ডাবর, পতঞ্জলী, বৈদ্যনাথ, জান্ডু-সহ ভারতের অন্তত ১০টি নামীদামি প্রতিষ্ঠানের মধুতে ভেজাল পাওয়া গিয়েছে। যদিও সিএসই'র এই দাবি নস্যাৎ করেছে ডাবর এবং পতঞ্জলী দুই সংস্থাই। বুধবার সিএসই'র ডিরেক্টর সুনিতা নারিন বলেন, ১৩টি ব্র্যান্ডের মধ্যে ১০টি সংস্থাই নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স টেস্ট (এনএমআর) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে মলিকিউলার লেভেলে উপাদান পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
কিছু ভারতীয় সংস্থা চিন থেকে চিনির সিরাপ আমদানি করছে। অন্যদিকে ২০শে জুলাইয়ের একটি রিপোর্ট সামনে এনে চমকে দিয়েছে ডাবর। জার্মান সংস্থা ব্রুকারের এনএমআর টেস্টের রিপোর্ট বলছে, ডাবরের মধু ১০০ শতাংশই ভেজালহীন।
জেনে নেওয়া যাক খাঁটি মধু চিনে নেওয়ার কয়েকটি সহজ উপায়।
* মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, এতে কোনও ঝাঁঝালো ভাব থাকবে না।
* শীতের দিনে বা ঠান্ডায় খাঁটি মধু দানা বেঁধে যায়।
* এক টুকরো ব্লটিং পেপার নিন, তাতে কয়েক ফোঁটা মধু দিন। যদি কাগজ তা সম্পূর্ণ শুষে নেয়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন