সকালবেলা আসলেই যে না থাকলে সকাল হবে না সেটি কিন্তু সূর্য। ভোর হতেই আলো ছড়িয়ে দেওয়া থেকে প্রাণের অস্তিত্ব বজায় রাখা, এই সূর্য কিন্তু সর্বোচ্চ শক্তির উৎস। মানুষ থেকে যেকোনও প্রাণ বেঁচে থাকার এক এবং অনন্য উৎস! সুতরাং এর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা মানে কিন্তু শরীরের পক্ষেই ভাল। সম্পর্ক কেন? কারণ এই সময়ে দাঁড়িয়ে বেশিরভাগ মানুষ সকাল সকাল ওঠায় বিশ্বাস করেন না, কেউ কেউ ভোরের সূর্য নয়! বেলার সূর্যকেও দেখে থাকেন! এটি কিন্তু একেবারেই ভাল নয়।
Advertisment
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা নিতিকা কোহলি বলছেন, অনেকেই শুনে থাকবেন অত্যধিক সূর্যের আলো মানুষের শরীরে কালো দাগ, মেলানিন হ্রাস এবং আরও অনেক রকম ক্ষতি করতে পারে। তবে এই সূর্যের আলোই কিন্তু নির্দিষ্ট একটি সময়ে মানবদেহকে পুষ্ট করতে পারে। এর ফলে স্কিনের সমস্যা থেকে দৈহিক গোলমাল অনেক কিছুই দুর হয়ে যায়। সঙ্গেই তিনি জানান সান বাথ সম্পর্কে!
তার বক্তব্য অনুযায়ী সান বাথ এমন একটি প্রাচীন আদিম আয়ুর্বেদীয় পন্থা যেটিকে সঙ্গে করেই মানুষ নানাভাবে সুস্থ হতেন। প্রচুর মানুষ যারা বেশ কিছু কঠিন রোগে আক্রান্ত হতেন তাদের মধ্যে অনেকেই এই উপায়ের দ্বারস্থ হতেন। এটি বেশ কার্যকরী এবং শরীরের পক্ষে সহায়ক! কীভাবে এটি সাহায্য করতে পারে?
যদি আপনি অত্যধিক ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন তবে ভোরের সূর্যের আলো কিন্তু আপনার জন্য লাভদায়ক! বিশেষ করে যারা হাইপারটেনশনের রোগী কিংবা সুগারের রোগী তাদের মধ্যেও এই পন্থা নিদারুণ কাজ করতে পারে।
রাত বিরেতে ঘুমাতে খুব দেরি হয়? ইনসোমনিয়া আছে? তাহলে কদিন সূর্যের আলোয় থেকেই দেখুন, সমস্যার সমাধান হতে বাধ্য। আর ঘনঘন ওষুধ খেতে হবে না। তবে অবশ্যই ভোরের সূর্য, বেশি বেলা বাড়লে তেজ বাড়তে থাকে সেটি খারাপ প্রমাণিত হতে পারে।
ত্বক ভীষণ শুকনো? মাঝে মাঝে শুকনো চামড়া খসে পড়ে, জ্বলুনি অনুভূত হয়? চিকিৎসক বলছেন, ভোরের সূর্যের আলো আপনার ত্বকের পক্ষে অতটা লাভদায়ক হতে পারে। তাই অবশ্যই চেষ্টা করুন সকালে ঘুম থেকে ওঠার।
সুগারের কারণে নাজেহাল? সূর্যের আলোয় থাকে ভাল পরিমাণ ভিটামিন ডি। তাই এটি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গেই ডায়াবেটিসের মাত্রাও হ্রাস করে।
অটো ইমিউনিটি বাড়াতে সূর্য রশ্মির থেকে ভাল আর কিছুই নেই। তাই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এটি সুস্থ এবং সবল করে তোলে। তাই আজ থেকে কষ্ট হলেও সকালে উঠেই দেখুন না!........