Advertisment

সূর্যের আলো কি ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে? জানুন কী বলছে গবেষণা

কতটা যুক্তিযুক্ত বিষয়টি? জানুন

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস নিয়ে চারিদিকে প্রচার এবং এর প্রতি সহমর্মিতা তথা চিকিৎসার পথ বেছে নেওয়ার প্রচেষ্টায় তৎপর সকলেই। প্রতিদিন নয়া তথ্যের আবিষ্কার যেন মানবজীবনে এক নতুন কিনারা। বিশেষ করে নারীদেহে স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ যথেষ্ট বেশি। এবং বর্তমান গবেষণা বলছে সূর্যের আলোর প্রভাবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি একেবারেই কমতে পারে। 

Advertisment

ইউনিভার্সিটি অফ বাফেলো ও ইউনিভার্সিটি অফ পূর্ত রিকোর গবেষণাপত্র ঠিক এমনটাই জানান দিচ্ছে। স্তন ক্যান্সারের নিয়ন্ত্রন নিয়ে এক অধ্যয়ন করা হয়েছে - মহিলাদের নিয়ে তাদের মধ্যে সূর্যের আলোর প্রভাবকে ভিত্তি করেই এই গবেষণার রূপ দেওয়া হয়েছে। ত্বকের ওপর সূর্যের এক্সপোজারের প্রতিফলনের ভিত্তিতে পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা প্রতিফলনের মাত্রা পরিমাপ করতে গিয়ে একটি ক্রমোমিটার ব্যবহার করেছেন। 

সেই গবেষণার ফলাফল সাপেক্ষেই দেখা গিয়েছে উন্মুক্ত ত্বক এবং অউন্মুক্ত ত্বকের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু সংখ্যক ফারাক। সংখ্যার রেশীয় ৩০৭ এবং ৩২৮। পরবর্তীতে ত্বকের রং এবং ধরনের ওপর নির্ভর করে সম্পূর্ণ ফলাফলে আসা গেছে। নানা প্রশ্ন উত্তর নির্ধারণের মাধ্যমে আদৌ এই বিষয়টি সঠিক কিনা সেই সম্পর্কে জানা গিয়েছে। গবেষণার শেষভাগে জানানো হয়েছে যে ভিটামিন ডি এর উচ্চ মাত্রার কারণেই এত সম্ভব। যারা সূর্যের আলোর কাছাকাছি বসবাস করে কিংবা ত্বকে আলো বেশি লাগায় তাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম। 

কিন্তু এই বিষয়ে চিকিৎসকদের ধারণা ঠিক কী? 

রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালের চিকিৎসক ডক্টর সেবন্তি লিমায়ে বলছেন, সূর্যের এক্সপোজারের ত্বকের সাধারণ স্তরের সঙ্গে বেশ গভীরভাবে সম্পর্কিত। এবং এই কারণেই স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও হ্রাস পাওয়া অবশ্যই সম্ভব। মহিলাদের শরীরে উচ্চস্তরের ভিটামিন ডি তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই স্তন ক্যান্সারের মত ক্ষতিকর রোগটিকে তুলনামূলক অনেক হ্রাস করতে পেরেছে। এই আবিষ্কার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং আকর্ষণীয় - পরবর্তীতে আরও গবেষণা তথা অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। 

অন্যদিকে চিকিৎসক কণিকা শর্মা বলছেন, যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে ক্যান্সারের ভয়াবহতাও এর থেকে অনেক কমেছে বিশেষ করে ম্যালিগনেন্সের মাত্রা অনেক হ্রাস পেয়েছে।  সঙ্গেই ভিটামিন ডি শরীরের স্বাভাবিক ছন্দের উন্নতি করতে এবং স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। 

ভিটামিন ডি কে সানশাইন ভিটামিন বলা হয়ে থাকে। কারণ সূর্যের অতিবেগুনি বি রশ্মির সংস্পর্শে এসেই এটি শরীরে তৈরি হয়। এবং সেই কারণেই এটি শরীরে অন্ত্যন্ত ফলপ্রসূ। শরীরে জিনোম সিকোয়েন্স মজবুত করতে এবং জেনেটিক্স মলিকিউল কে সক্রিয় করতেও এটি বেশ সক্রিয়!! 

health breast cancer sun exposure
Advertisment