চুলের স্বাস্থ্য ভালো নেই। অগত্যা তাঁকে সুস্থ রাখার উপায় না খুঁজে একেবারে কেটে ফেলাই যথাযথ মনে করি আমরা। এতে লুকও বদলে যায়, আবার গ্ল্যামারহীন চুলকে সঙ্গী করে আর ঘুরতে হয়না। চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার জনন্য মূল দায়ী, গরম, সূর্যের অত্যাধিক তাপ, হিট দেওয়া চুলে, স্ট্রেস, চিন্তা, বিনিদ্র রাত, রাসায়নিক পদার্থ। কাজেই চুল কেটে ফেললেই যে আপনি বিপদ মুক্ত এমনটা নয়। কারণ, চুল কাটার পর রসায়ানিক পদার্থর সঙ্গে চলে হিট। এতে খানিক সময় গ্ল্যামার সমৃদ্ধ এলোকেশী চুল হলেও, স্নান করার পর তা আর থাকে না। তাই পদ্ধতিতে আনুন বদল।
প্রাথমিক পর্যায়ে নিজেই এই সমস্যার যত্ন নিতে পারেন। টোটকা...কারি পাতা। যা আপনার চুলকে রাখবে উজ্জ্বল ও দূষণ থেকে মুক্ত। আপনার চুলের গোড়াকে মজবুত করবে। তাই বর্ষায় বা ঘাম হলেই ঝড়ে পরার ভয় থাকবে না। মনে রাখবেন চুলে পুষ্টি দিলেই চুল পরা কমে যায়।
চুলের স্বাস্থ্য ভালো করতে কী করবেন?
* দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল
* ১০ থেকে ১২টি কারি পাতা
পদ্ধতি
* নারকেল তেল গরম করুন।
* অল্প আঁচ পাতাগুলি দিন।
* পাতাগুলিকে ভিজতে দিন, এরপর গ্যাস বন্ধ করে কমপক্ষে ২০ মিনিটের জন্য ঢাকা দিয়ে রেখে দিন, ঠান্ডা হয়ে যাবে।
* ঠান্তা অথচ হালকা গরম রয়েছে, সেই অবস্থায় স্কালে মাখুন এবং ধীরে ধীরে মাসাজ করুন।
* তেল মাথায় রাখার অভ্যাস থাকলে একট দিন রাখতে পারেন। অথবা আপনার নিয়মিত হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করে দুই ঘন্টার মধ্যে চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। অবশ্যই কন্ডিশনার অল্প ব্যবহার করুন।
* আপনার চুল ধুয়ে দেওয়ার আগে, কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই তেলও যোগ করতে পারেন।