এই বিশ্বে সকল শক্তির উৎস সূর্য। যা কিছুই বেঁচে আছে তার মধ্যেই সূর্যের আলোর অবদান সবথেকে বেশি। একদিন সূর্য না উঠলে আমরা কি করতে পারি অথবা জীবন আদৌ এগোবে কিনা এরকম কিছু ভাবনাতীত। চারিদিকে আলো, শক্তি প্রদানের সঙ্গে সঙ্গেই এটি মানবদেহে নানান ভাবে চমৎকার ঘটিয়ে থাকে।
বেশ কিছুদিন সূর্যের তাপ না থাকলে অনেকেই মন খারাপ করে বসে থাকেন। চারিদিকে পরিবেশ যেন একেবারেই সঙ্গ দেয় না মানবজীবনের। বিশেষজ্ঞ টিম গ্রের বক্তব্য সারাদিনে সূর্যের আলোতে সকলের একটু সময় হলেও থাকা উচিত। কারণ এটি দারুণভাবে আমাদের জন্য উপকারী। সূর্যের আলাদা প্রজাতিয় রশ্মি গুলি আলাদা আলাদা ভাবে দৈহিক উন্নতি ঘটায়।
ইউএভি রশ্মি, নাইট্রিক অক্সাইড বাড়িয়ে রক্ত সঞ্চালন সঠিক করে। ফলেই মানুষের শ্বাসকষ্টের সমস্যা দুর হয়। শর্করা লেভেল আয়ত্বে থাকে। অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তেমনই লাল রশ্মি, এনার্জি বৃদ্ধি করে এবং সেই থেকেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সাধারণ রশ্মি, মানসিক চাপ এবং ডিপ্রেশন দুর করে। নীল রশ্মি, সজাগ থাকতে সাহায্য করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। সুতরাং আপনাকেও নিজের খাতিরে একটু হলেও সময় বের করতে হবে। এবার বিস্তারিত জেনে নিন আসলেই সূর্যরশ্মি আপনার জন্য কতটা লাভদায়ক।
টিম বলেন, অনেকেই মনে করেন শুধুই ভিটামিন ডি শরীরে সরবরাহ করা সূর্যের কাজ একেবারেই তাই নয়, বরং ভিটামিন ডি কোনও কার্যকরী বিষয় নয়। বলা বাহুল্য সূর্যরশ্মি,
- শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ সঠিক মাত্রায় করে, ফলেই নাইট্রিক অক্সাইড বাড়িয়ে তোলে, রক্ত সঞ্চালন সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয়। হার্ট অ্যাটাক কিংবা রক্ত জমাট বাঁধার কোনও সুযোগ থাকে না।
- সার্কেডিয়ান রিদম ভাল রাখে। অর্থাৎ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আপনার খাওয়াদাওয়া এবং ঘুমের পরিসীমা আবদ্ধ, ফলেই একটি রুটিনের মধ্যে থাকা হবে।
- মন ভাল করে, উৎফুল্লতা বজায় রাখে এবং ভাল ঘুম হওয়ার চাবিকাঠি সূর্যরশ্মি।
- আপনার শরীরের প্রয়োজনে যতরকম ভাল হরমোনের প্রয়োজন, সেইগুলির কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। এবং তার সঙ্গেই আপনার শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
- কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। সঙ্গেই সেরেটোনিন এবং ডোপামাইন বাড়িয়ে মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি দেয়। মন থেকে আপনি ভাল থাকতে শুরু করেন।
- ব্লাড প্রেসারের মাত্রা কম করে। সূর্যের রশ্মির নিচে অল্প সময় দাড়ালেই প্রদাহ কমে গিয়ে প্রেসারের প্রকোপ হ্রাস পায়।
- ল্যাকটিক অ্যাসিডের মাত্রা কম করে। ফলেই অনেক হরমোনাল রোগ দূর করে। সঙ্গেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। সুতরাং আজ থেকে সময় করে সূর্যদেবের দর্শন মনে করে নেবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন