বাইরে রোদের তাপ একটু হলেও কমেছে। কিন্তু তাতে আদ্র ভাব একেবারেই কমে নি। সূর্যের সামান্য পরিমাণ তাপ কিন্তু স্কিনের অবস্থা একেবারেই খারাপ করতে পারে। সেই কারণে স্কিনে লালভাব, চামড়া ফেটে যাওয়া, পাতলা হয়ে যাওয়া এগুলি খুব স্বাভাবিক। সানস্ক্রিন কিন্তু প্রতিদিনের রুটিনে থাকাই উচিত।
এমন অনেকেই আছেন যারা স্কিনকেয়ারে সময় নষ্ট করেন না কিংবা ইচ্ছেপ্রকাশ করেন না তাদেরও কিন্তু সময় করে সানস্ক্রিন অবশ্যই লাগানো উচিত। খুব সাধারণ ভাবেই ত্বকের যত্ন নেওয়া তাতে ক্লিনসিং, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা এবং স্কিনের প্রয়োজনীয় spf যুক্ত সানস্ক্রিন লাগানো উচিত। কারণ শুধু বর্তমান নয় বরং ভবিষ্যতে যাতে ত্বক একেবারেই খারাপ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এদিকে, দেসিরে স্তরদাহল বলছেন শুধু স্কিন বাঁচাতে নয় বরং যারা বছর কুড়ি কিংবা বছর ত্রিশের নারী, তাদের কিন্তু অ্যান্টি এজিং ক্রিমের অবশ্যই দরকার এবং দেখা যায়, সানস্ক্রিনের থেকে ভাল অ্যান্টি এজিং ক্রিম আর একটাও নেই। যদি নিজের ত্বককে সূর্যের হাত থেকে রক্ষাই না করা যায় তবে কোনওরকম অ্যান্টি এজিং ক্রিম কাজ করবে না। ছিটেফোঁটা পরিবর্তন স্কিনে আসবে না।
পরবর্তীতে বিস্তারে তিনি জানান, সূর্যের UVA এবং UVB স্কিনের ড্যামেজ করতে পারে। সহজেই তাতে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এর থেকে রিংকেলস, ভাঁজ পড়ে যাওয়া চামড়া, রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া এগুলি দেখা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই সেগুলি স্কিনের অবস্থা আরও খারাপ করে তোলে। এবং তাতেই স্কিনের বয়স বেড়ে যায়। সানস্ক্রিন স্কিনের অনেকরকম সমস্যা দূর করে।
তবে সকলের জন্য সমান spf যুক্ত সানস্ক্রিন একেবারেই কাজ করে না। সাধারণ প্রতিদিনের জীবনে SPF ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন সবথেকে বেশি কার্যকরী। এমনকি বাড়িতে থাকলেও অল্প মাত্রায় সানস্ক্রিন কিন্তু লাগাতেই হবে। বিশেষ করে মেঘলা দিনে আরও বেশি করে সূর্যের আলো স্কিনের অবস্থা খারাপ করতে পারে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা আবশ্যিক। এতে করে সূর্যের আলোর থেকেও রেহাই পাবেন, এবং স্কিনে তরতাজা ভাব বজায় থাকবে।