Swami Vivekananda Jayanti 2025: স্বামী বিবেকানন্দের নাম শুনলেই আমাদের মন এবং শরীরে প্রেরণার স্রোত বয়ে যায়। স্বামীজি নিজের বিচারধারা এবং কর্মফলের মাধ্যমে শুধুমাত্র ভারতই নয়, গোটা বিশ্বকে নতুন দিশা দিয়েছিলেন। এই কারণেই তাঁর জন্মবার্ষিকী ১২ জানুয়ারি জাতীয় যুব দিবস পালন করা হয়। তিনি সেবাকেই পরমধর্ম হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দের বাণী এবং তাঁর শিক্ষা আজও ততটাই জীবনে জরুরি যতটা তাঁর সময়ে ছিল। যদি আমরা তাঁর বিচার মেনে চলি, তাহলে আমাদের জীবন বদলে যাবে। আজ তাঁর জন্মজয়ন্তীতে স্বামীজির কিছু প্রভাবশালী বাণী যা শুনলে এবং আপন করলে জীবনে সাফল্য আসবেই।
ধ্যানের মাহাত্ম্য
স্বামী বিবেকানন্দ ধ্যানকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেছিলেন। তাঁর কথা ছিল, ধ্যান করলে আমাদের মন শান্ত হয়, ভাবার শক্তি বাড়ে আর আমরা নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে পারি। যদি আপনিও নিজের জীবনে ধ্যানকে অন্তর্ভূক্ত করেন তাহলে চিন্তামুক্ত হয়ে বড় বড় মুশকিল আসান করতে পারবেন।
অনুশাসনের সাফল্য
স্বামী বিবেকানন্দ মনে করতেন, সাফল্যের জন্য পরিশ্রমের পাশাপাশি অনুশাসনেও প্রয়োজন। অনুশাসন আমাদের বদঅভ্যাস এবং কুপ্রভাব থেকে দূরে রাখে। যদি আমরা অনুশাসনে থাকি, তাহলে আমাদের শক্তি সঠিক দিশায় থাকবে এবং আমরা নিজের স্বপ্নপূরণ করতে পারি।
ভয়কে দূর করা
স্বামী বিবেকানন্দ মনে করতেন, ভয় অজ্ঞানতা থেকে সৃষ্টি হয়। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য সবার আগে আমাদের নির্ভয় হতে হবে। সৎসঙ্গ এবং জ্ঞান প্রাপ্ত করে আমরা যে কোনও ভয়কে শেষ করতে পারি।
দয়ালু হোন
স্বামী বিবেকানন্দ সর্বদা অন্যের প্রতি দয়া এবং করুণা রাখার কথা বলেছেন। তাঁর কথা ছিল, দয়া এবং সহানুভূতি দেখা কেবলমাত্র আমাদের মন বড় হয় না, বরং সমাজে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। এর পাশাপাশি তিনি বলতেন, যখন আমরা অন্যদের সাহায্য করি, তাহলে আমরা জীবনে নিজে থেকেই ভাল হবে। কারও সেবা করলে সমাজের উন্নতি হবে এবং সুখ-শান্তি আসবে।
নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন
স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন যে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে একটা শক্তি নিহীত থাকে। শুধু দরকার সেটাকে চেনার। যখন আমরা নিজের উপর বিশ্বাস রাখি, তখন কোনও মুশকিল আমাদের রাস্তা আটকাতে পারবে না।
বর্তমানে বাঁচুন
তিনি মনে করতেন, আমাদের সবসময় বর্তমানে বাঁচতে শিখতে হবে। অতীতের ভুল এবং ভবিষ্যতের চিন্তায় ডুবে গেলে কিছু পাবেন না। যে ব্যক্তি বর্তমানে বাঁচেন সেই জীবনে সাফল্য পান।