চারিদিকে এত স্কিনকেয়ার হ্যাকের মাঝে কোনটি ঠিক কোনটি বেঠিক এই নিয়ে মতভেদের শেষ নেই। হাজার ধরনের হ্যাক এবং প্রসাধনীর ব্যবহারে কোনওদিন স্কিন ভাল হতে পারে না এই বিষয়টি একেবারেই সত্য। নিজের স্কিনের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সবকিছু ব্যবহার করা উচিত। তবে এমন অনেক কিছুই আছে যেগুলি আমরা প্রতিনিয়ত করে চলেছি কিনতু এতে বদল আনা খুব জরুরি, শুধু প্রসাধনী নয় সম্পূর্ণ ট্রিটমেন্ট কিংবা যত্নের পর্যায়ে।
Advertisment
ডার্মাটোলজিস্ট ডা গুরভিন ওয়ারাইচ বলেন, স্কিনের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে গেলে এই বদল গুলি আনা খুব জরুরি। বিশেষ করে শীতকালে স্কিন শুকিয়ে যেতে পারে এবং সেই থেকেই স্কিনের জৌলুস কমতে থাকে। সেই ক্ষেত্রে বদল আনা খুব দরকারি। গুরভিন বলেন, নিজেদের অজান্তেই এই ভুল একেবারেই করবেন না।
প্রথমেই তিনি বলেন, স্ক্রাবিং নয় সেই পরিবর্তে কেমিক্যাল এক্সফলিয়েশন খুব দরকারী। এটি কীভাবে কাজ করে? এটিতে ব্যবহার করা হয়, আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, এবং বেটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড দিয়ে স্কিনের সম্পূর্ণ ট্রিটমেন্ট করা হয়। এতে শুধুই মৃত কোষগুলি দুর হয় না বরং সতেজ কোষগুলি উঁকি দেয়। যেইখানে স্ক্রাব শুধুই অল্প বিস্তর স্কিন পরিষ্কার করে।
দ্বিতীয়, অনেকেই শুধু টোনার ব্যবহার করেন। এতে আদৌ কাজ দিচ্ছে কিনা সেটি সম্পর্কে জানা নেই তো? তবে ত্বকের ময়েশ্চার বাড়াতে গেলে শুধুই টোনার নয়, ফেস মিস্ট ব্যবহার করা খুব দরকার। তার মধ্যে কী কী থাকে? থার্মাল স্প্রিং ওয়াটার, থানকুনি পাতা, সাধারণ ডিজি ফুল সম্মিলিত একটি এমন স্প্রে যেটি আপনার পক্ষে বেশ কার্যকরী। এটি স্কিনের সঙ্গে সহজেই মিশে যায় এবং সমস্ত ধরনের প্রসাধনীর কেমিক্যাল থেকে ত্বককে বাঁচাতে পারে।
তৃতীয়, ডাবল ক্লিন্সিং। এটি একেবারেই অন্য ধরনের একটু প্রক্রিয়া। এতে দুবার করে ত্বককে পরিষ্কার করা হয়। এবং তার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় সারাদিনের মেকআপ ত্বককে ভীষণ ভাবে ক্ষতি করে, সেগুলিকে গভীরে পরিষ্কার করা খুব দরকার। প্রথমে এমন কিছু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করা দরকার, তৈলাক্ত কোনও কিছু, অথবা বাম জাতীয় কিংবা মিসেলার জল। সেটির পর নিজের প্রতিদিনের ব্যবহারের ফেস ওয়াশ অথবা যেটি আপনি ব্যবহার করেন। তবেই কিন্তু স্কিন ভাল থাকবে।
তবে আজ থেকেই বদল আনা জরুরি। অন্তত নিজের ত্বকের প্রয়োজনে এটাই উচিত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন