অক্টোবর আসলেই নির্দেশিত ক্যানসারের মাস হিসেবে। এই গোটা মাস জুড়ে শুধুই ক্যানসার, তার প্রভাব এবং জীবনে সবকিছুর পরেও বাঁচার স্বপ্ন দেখতে মানুষজনকে উৎসাহিত করার প্রচেষ্টা। আর ভরসার আশ্বাস যখন দিচ্ছেন স্বয়ং ক্যানসার বিজয়ী তখন এটি অনুপ্রেরণাই বটে। তাহিরা কাশ্যপ বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যানসার সংক্রান্ত নানান মোটিভেটেড শব্দ শেয়ার করেই আশা জাগিয়ে তুলছেন।
Advertisment
প্রতিবছরের ন্যায় এইবারও নিজের মনের এবং ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি নিয়ে নানান কিছু তিনি বর্ণনা করছেন। হাতে গোলাপি রিবন, মুখে লড়াইয়ের দীপ্তি এবং ক্যাপশনে লেখেন, নিজেকে রক্ষা করুন, নিজের যত্ন নিন, এমনকি স্বয়ং লালনপালনের চেষ্টা করুন। সবসময়ই ব্রেস্ট ক্যান্সারের বিষয় নিয়ে তিনি বেশ খোলামেলা আলোচনা করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
সর্বশেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখেন, নিজের শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা সবসময়ই বজায় রাখুন। শরীর ভাল থাকলেও রুটিন চেকআপ অবশ্যই দরকার। বয়স ভেবে কোনও রোগ আসে না এমনকি অল্প বয়স হলেও আপনি বেঁচে যাবেন এই ধারণা ভুল বরং সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা হলেই আপনার জীবন সুন্দর করে কাটানোর সুযোগ বেশি। জীবনকে সিনেমার ছন্দে বেঁধে ফেলার পরামর্শ দিয়েই বলেন, “পরিচালক যেমন অ্যাকশন বলেন ঠিক তেমন আপনারও প্রয়োজন চিকিৎসকদের নির্দেশ এবং প্রটোকল অনুযায়ী নিজেকে চালিত করা”। তিনি এমনও আশ্বাস দেন, প্রত্যেকেই নিজের মধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, অনেক মূল্যবান তাই নিজেকে আনন্দে রাখুন এই বিষয়টি একেবারেই ভুলবেন না।
তাহিরার মত এমন অনেক মহিলাই আছেন যারা ব্রেস্ট ক্যালসার দ্বারা আক্রান্ত। প্রতিদিন চিন্তায় কপালের ভাঁজ পরিস্ফুট। আর্থিক অসঙ্গতি তো বটেই তবে নিজেকে সুস্থ রাখতে মানসিক শান্তিও কিন্তু বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। যদি চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী, অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয় তবে নিজেকে সেই ভাবেই প্রস্তুত করুন। বেশিরভাগ নারী যারা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত তারা কিন্তু অনেকেই শারীরিক গঠনের বিষয়ে চিন্তিত হন। তবে এটি ভাববার বিষয় নয়। মানুষের আত্মবিশ্বাস তার নিজের মনে থাকে একেবারেই এর সঙ্গে কোনরকম সংযোগ নেই শারীরিক ক্রিয়াকলাপের। তাই নিজেকে বাঁচতে শিখুন। সবার সঙ্গে সুস্থ ভাবে মিলেমিশে থেকে যান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন