প্রতিভা দিতেই সব মেলে নাকি প্রযোজন কঠোর পরিশ্রমও? এই দ্বন্দ্ব চিরকালের। অনেকেই মনে করেন, শুধুমাত্র প্রতিভা দিয়েই জগৎ জেতা সম্ভব, আবার কেউ মনে করেন প্রতিভার পাশাপাশি প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রমও। সাফল্যের জন্য ঠিক কোনটা বেশি দরকারি, এই প্রশ্ন ঘুরছে আমার আপনার প্রত্যেকের মাথাতেই। অন্যদিকে বেশ অনেকেই আছে জীবনে সফল না হওয়ার জন্য প্রতিভা আর ভাগ্যের দোহাই দিতেই পছন্দ করেন তাঁরা, সেই দলে যদিও আপনার নামও থাকে তাহলে আপনার জন্য রইল কিছু কথা। অবশ্যই পড়ুন।
আরও পড়ুন: আকাশে গাঢ় হচ্ছে রামধনু রঙ; দেশের প্রথম লিঙ্গ-নিরপেক্ষ হোস্টেল পেল টিস
ট্যালেন্ট নাকি হার্ডওয়ার্ক, কোনটা জরুরি?
হার্ডওয়াক ছাড়া শুধু ট্যালেন্ট যথেষ্ট নয়। ধরা যাক, আপনার খুব সুন্দর গলার আওয়াজ। তবে অভ্যাস ছাড়া বা বলা যেতে পারে ঘষামাজা ছাড়া আপনি কখনই খুব বড়ো গায়িকা বা গায়ক হয়ে যেতে পারেন না। প্রতিভা হয়ত শুরুতে সাহায্য করতে পারে, তবে তা সঠিক লক্ষে এগিয়ে নিয়ে যেতে পরিশ্রম অবশ্যই দরকার।
কঠোর পরিশ্রম আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রতিভা ছাড়াও শুধু মাত্র কঠোর পরিশ্রমে এগিয়ে যাওয়া যায়, কোনও কাজে আপনি পারদর্শী না-ই হতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে সেই বিষয়টি নিয়ে কঠোর পরিশ্রম অবশ্যই আপনাকে প্রাপ্যটুকু এনে দিতে সাহায্য করবে, এবং পাশাপাশি এগিয়ে যেতেও সাহায্য করবে।
ট্যালেন্ট ওভার কনফিডেন্সের কারণ হতে হবে। বহুক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যাঁদের সামান্য কিছু প্রতিভা রয়েছে তাঁদের মধ্য অতিরিক্তি আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। যার ফল স্বরূপ পিছিয়ে যেতে হয় অনেকটাই। তাঁরা মনে করে থাকেন কোনও পরিশ্রম ছাড়াও অনায়াসেই প্রতিভার জোরেই এগিয়ে যেতে পারেন তাঁরা। যা আদৌ সম্ভব নয়।
কঠোর পরিশ্রম কখনও ব্যর্থ হয়না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, কঠোর পরিশ্রম কখনও বিফলে যায় না। তখনই না হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফল মিলবে ঠিকই। তাই সময় নিয়ে পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়াটা খুব জরুরি।
কঠোর পরিশ্রম সবার জন্য। প্রতিভা সবার থাকে না। কাজেই এক্ষেত্রে কঠোর কারও হাত নেই তবে কঠোর পরিশ্রম করে প্রতিভাবান ব্যক্তিকেও হারিয়ে দেওয়া সম্ভব। তাই বিবেচনা করে বাছতে হবে আপনাকেই।