দীর্ঘ লড়াই শেষে দেশের প্রথম জাতধর্ম-মুক্ত পরিচয় পেল আইনি স্বীকৃতি

"২০১৭ সাল থেকে আমি আরও স্পষ্ট করে আমার অবস্থান বোঝাতে থাকি। সরকারি আধিকারিকদের আমি বলতে শুরু করি, আমার যুক্তি যেন বোঝার চেষ্টা করা হয়, সংরক্ষণ অথবা সরকারের কোনো প্রকল্পে আমার নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য দাবি করছি না"

"২০১৭ সাল থেকে আমি আরও স্পষ্ট করে আমার অবস্থান বোঝাতে থাকি। সরকারি আধিকারিকদের আমি বলতে শুরু করি, আমার যুক্তি যেন বোঝার চেষ্টা করা হয়, সংরক্ষণ অথবা সরকারের কোনো প্রকল্পে আমার নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য দাবি করছি না"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
no caste no religion certificate

"মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক,

Advertisment

                   আমি তোমাদেরই লোক

                            আর কিছু নয়,

Advertisment

                        এই হোক শেষ পরিচয়"।

স্বপ্নের সেই 'শেষ পরিচয়' নিয়েই আজীবন বাঁচতে চেয়েছেন তামিলনাড়ুর স্নেহা। স্নেহা বেড়ে উঠেছেন যে পরিবারে, সেখানেও সবাই বিশ্বাস রাখতেন ধর্ম পরিচয়, জাত পরিচয় মুক্ত এক সমাজে। তাই লড়াইটা সেই শৈশব থেকেই ছিল সঙ্গে। মানুষে মানুষে পার্থক্য করতে শেখানো সমস্ত মাপকাঠি অস্বীকার করার লড়াই। এবং সেই অস্বীকার যাতে আইনি স্বীকৃতি পায়, তার লড়াই। শেষমেশ আইন কথা বলেছে স্নেহার পক্ষেই। দেশের প্রথম জাত-ধর্মহীন পরিচয়ের শংসাপত্র হাতে পেয়েছেন তিনি।

অনেক লড়াইয়ের পর জিত হয়েছে তামিল নাড়ুর তিরুপাট্টূর অঞ্চলের স্নেহার। পেশায় আইনজীবী বছর ৩৫ - এর স্নেহার শংসাপত্র বলছে, "এই শংসাপত্রের অধিকারীর কোনো ধর্ম কিংবা জাত নেই।"

আরও পড়ুন, ‘প্রথমবার স্বাধীন প্রেমের ভ্যালেন্টাইন্স ডে’! সত্যিই?

এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাতকারে স্নেহা জানিয়েছেন, "আমি ২০১০ সাল থেকে এই সার্টিফিকেট চাইছিলাম। কোনও না কোনও কারণে আমায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। কেউ কেউ বলছিলেন, আমাদের দেশে এরকম আইন নেই, যেখানে ধর্ম এবং জাতের পরিচয় ছাড়া বাঁচা যাবে। ২০১৭ সাল থেকে আমি আরও স্পষ্ট করে আমার অবস্থান বোঝাতে থাকি। সরকারি আধিকারিকদের আমি বলতে শুরু করি, আমার যুক্তি যেন বোঝার চেষ্টা করা হয়, সংরক্ষণ অথবা সরকারের কোনো প্রকল্পে আমার নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য দাবি করছি না"।