বর্তমান প্রজন্মের কাছে ট্যাটু এক অসাধারণ ফ্যাশিনেশন। অনেকেই এমন আছেন যারা একটি ট্যাটু করার কারণেই পরিবারের সঙ্গে লড়াই শুরু করে দেন। কথায় বলে, ট্যাটু সবসময়ই খুব অর্থবহ হওয়া উচিত- এতে মানুষের ভাবনার প্রকাশ পায়। কিন্তু এই ট্যাটুই আবার অনেকের ক্ষেত্রে পুরনো স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে থেকে যায়। সেটিকে দেহের ওপর যেন আর সহ্য হয় না। ঠিক সেইসময় সবথেকে বেশি কাজে আসতে পারে লেজার ট্রিটমেন্ট। প্রসঙ্গে ধারণা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ গীতিকা গুপ্তা। তিনি বলছেন, অ্যাডভান্স লেজার পদ্ধতির সাহায্যেই এটিকে একেবারে মুছে ফেলা যায়।
Advertisment
ট্যাটু নিয়ে মানুষ আগ্রহী যেমন থাকেন, তেমনই এটি পরবর্তীতে মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় ট্যাটু লোকাতে অনেকেই কভার আপ ট্যাটু করেন। সেটিকে ঢাকার থেকে ভাল মুছে ফেলা। ট্যাটু যেকোনও জায়গা থেকে করানো একেবারেই উচিত নয়। তার কারণ, সুচ কিংবা কালি যদি ভাল না হয়, তাহলে খুব মুশকিল- এটি থেকে ইনফেকশন হতেই পারে। পরবর্তীতেও ট্যাটু রিমুভাল নিয়েও সব জায়গায় যাওয়া উচিত নয়।
এটি কীভাবে কাজ করতে পারে?
তিনি বলছেন, লেসার থেরাপি আসলেই খুব আরামদায়ক! এর থেকে সহজে ট্যাটু মুছেও ফেলা যায়, তেমনই ব্যাথাও কম লাগে ফলে কষ্ট একেবারেই হয়না। শুধু আরামদায়ক নয়, বরং বেশ সুরক্ষিত সঙ্গেই কার্যকরী। কাজ হবে একদম নিশ্চিত। সর্বোত্তম কোনও রেজাল্ট যদি পেতে হয় তবে এর সাহায্য নিতেই হবে। সঙ্গেই মাথায় রাখতে হবে, এটি কিন্তু বেশ সময়সাপেক্ষ। খুব তাড়াতাড়ি এই কাজ সম্ভব নয়, অন্তত গোটা দিন রাখলেই ভাল। এই ট্রিটমেন্ট করার আগে অবশ করে নেওয়াই ভাল। নইলে পরে মুশকিল হতে পারে।
কোনও সমস্যা কী হতে পারে এর থেকে?
সেরকম ভাবে না হলেও নির্দিষ্ট সেই জায়গায় স্কিন ইনফেকশন হতেই পারে। এর কারণেই একটু সাবধানে থাকা উচিত। অনেক সময় স্থায়ী দাগও জায়গা করে নিতে পারে। অনেকেই ট্যাটু করাকালীন নানান রং ব্যাবহার করেন,কালো এবং নীল রঙের ট্যাটু সবথেকে আগে মুছে ফেলা যায়। বিশেষ করে চোখ, কান ঠোঁটের চারপাশের ট্যাটু ট্রিটমেন্ট করলেই কালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।