চা খান না এমন মানুষ খুব কম আছেন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অগুনতি বার চা খাওয়া কিন্তু হয়েই থাকে। সুগন্ধি চা পাতা হোক কিংবা রং হবে এমন চা পাতা চা কিন্তু অনেক সমস্যার মুশকিল আসান। আবার এই চায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেককিছুই কিন্তু আপনার বিরাট ক্ষতি করতে পারে।
Advertisment
যুগ এগিয়েছে, এখন চায়ের কৌটো কিংবা প্যাকেটের থেকেও বেশি বেড়েছে টি ব্যগস এর ব্যবহার। এটি সহজে যেমন ব্যবহার করা যায়। তেমনই যেখানে সেখানে নিয়েও যাওয়া যায়। চা বানাতে প্রয়োজন শুধু একটু গরম জল। কিন্তু এই টি ব্যাগস শরীরের পক্ষে বেজায় খারাপ। এর থেকে হতে পারে মারণ রোগ ক্যান্সারও। McGill বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছে একটি প্লাস্টিকের টি ব্যাগ নানা ধরনের ক্ষতিকর জিনিস ছড়িয়ে দিতে পারে চায়ের কাপে। সেগুলি কী কী?
১১.৬ বিলিয়ন মাইক্রপ্লাস্টিক, ৩.১ বিলিয়ন ন্যানো প্লাস্টিকস। এগুলি শরীরের পক্ষে এবং বিশেষ করে শারীরিক কোষের পক্ষে বেজায় খারাপ। বিশেষজ্ঞ রাশি চৌধুরী সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে নাইলন এর মত ক্ষতিকর পদার্থ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি পেপার টি ব্যাগে এপিক্লোরহাইডিন নামক কেমিক্যাল থাকে যেটি থেকে পোটেনশিয়াল কারসিনোজেন নিঃসৃত হয়। এটি কিন্তু ক্যান্সারের মত ব্যাধির জন্ম দিতে পারে। প্রথম কথা টি ব্যাগ একেবারেই ভেঙে যায় না। দ্বিতীয় এটি এতটাই হালকা পাতলা হয় যে সহজেই দূষিত পদার্থ ছড়িয়ে দিতে পারে।
টক্সিন শরীরে বেশি মাত্রায় গেলে বেজায় বিপদ। সত্যিই ভয়ঙ্কর, জানালেন বিশেষজ্ঞ। তাই এরপর থেকে শুধুই চায়ের পাতা কিংবা পাউডারের ব্যবহার করা ভাল। রাশি চৌধুরীর সঙ্গেই সহমত পোষণ করেছেন ডায়েটিশিয়ান কিরণ দালাল। বললেন, টি ব্যাগের মধ্যে দিওএক্সিন এবং এপিক্লোরহাইডিনের এক আস্তরণ থাকে। সেটি জলের সংস্পর্শে যেতেই বিক্রিয়া শুরু করে।
তবে একেবারে পাতলা কাপড়ের টি ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু প্লাস্টিক অথবা ক্রেপ কাপড়ের একেবারেই না। সবথেকে ভাল যদি এর ব্যবহার না করা যায়।