ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গ্রিন টি অথবা লেমন টির কথা অনেকেই জানেন, কিন্তু সাধারণ দুধ চিনির চাও যে সমান ভাবে ওজন কমাতে পারে এই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, ওজন কমানোর জন্যই চা না খাওয়ার কথা বলে থাকেন অনেকেই, কিন্তু ভুলে যান যে চায়ের মাধ্যমেও ওজন কমানো একেবারেই সম্ভব! কীভাবে?
Advertisment
পুষ্টিবিদ মহিমা সেঠিয়া বলছেন, একদমই এই কাজ সম্ভব! ওজন কমানোর পথে চা কিন্তু বেশ কার্যকরী। শুধু এর জন্য প্রয়োজন হবে বেশ কিছু মশলার, তাহলেই কিন্তু নিপুণ ভাবে ওজন কমবে। চায়ের মধ্যে লবঙ্গ, আদা, গোলমরিচ, দারচিনি - ব্যাস! অল্পতেই কিন্তু বাজিমাত! তবে এটি কীভাবে মানবদেহে ওজন কম করে?
চায়ের মধ্যে কী পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে সেটি নির্ভর করে দুটি বিষয়ের ওপর। প্রথম কী মাত্রায় এতে চিনি ব্যবহার করা হয়েছে। দুই, দুধ কী ধরনের এতে ব্যবহার করা হয়েছে। যদি ফ্যাট এবং ক্রিম মিল্ক হয় তবে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুব বেশি। টোন্ড দুধ হলে কিন্তু একেবারেই এই সমস্যা নেই। ক্যালোরি ভাগ কীভাবে করবেন?
Advertisment
১০০ মিলি সিঙ্গেল টন্ড দুধ হলে তাতে ৫৮ শতাংশ ক্যালোরি। এবং ১০০ মিলি যদি ফ্যাট ফ্রি দুধ হয় তবে তাতে ৩৬% ক্যালোরি। এমনিতেও ফ্যাট ফ্রি দুধ সুগার রোগীদের পক্ষেও ভাল। এছাড়াও এক চামচ চিনি ৪৮ শতাংশ ক্যালোরি সৃষ্টি করতে পারে। তাই চায়ে চিনি না খাওয়াই ভাল। এতো গেল চায়ের ভেতরের বিষয়, তবে নজর রাখতে হবে বাহ্যিক দিকেও! অর্থাৎ,
চায়ের সঙ্গে মুঠো মুঠো বিস্কুট এবং এই জাতীয় স্ন্যাক্স যেমন পকোড়া, কিংবা ভাজাভুজি একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এতে সবথেকে বেশি তেল এবং ক্যালোরি থাকতে পারে যেগুলি পেটের সমস্যাও করতে পারে। যেমন, পাকস্থলীর সমস্যা - হজমের সমস্যা তেমনই ক্যালোরি বৃদ্ধি তো রইল।
বিশেষ করে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই চা নয়, এক গ্লাস জল খান। চেষ্টা করুন, চা গরম গরম পান করতে এর থেকে হজমের সমস্যা দূর হয়। অবশ্যই নিজের ইচ্ছে মত মশলা যোগ করে নেবেন। চাইলে লিকার চাও কিন্তু খেতেই পারেন, এতে অম্বলের সমস্যা অনেক কমে!