অল্প বয়স থেকেই কিন্তু ব্রণর সমস্যা শুরু হতে পারে। বিশেষ করে 'Teeange Acne' বছর ১৫/১৬ থেকেই। সেই থেকে স্কিনে লাল ভাব, ছোপ কিংবা শুষ্ক ভাব দেখা দিতে পারে। এই সময় থেকেই বিভিন্ন ধরনের মেকআপ কিংবা স্কিন প্রোডাক্ট ব্যবহার করার পরে এই ধরনের সমস্যা আরও বেশি হতে পারে। প্রসঙ্গে ধারণা দিচ্ছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ শর্মিতা।
কী কারণে এই teeange acne হয়?
- অতিরিক্ত পরিমাণে স্কিনে তেলের ভান বেড়ে গেলে। অর্থাৎ অয়েলি স্কিনের কারণে এটি হতে পারে। ঘাম বেশি হলে, সকাল বেলা ঘুম থাকে উঠেই যদি নাকের পাশে এবং থুতনিতে বেশি তেল জমে থাকে তবে জানতে হবে আপনার অয়েলি স্কিন।
- ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনজনিত কারণে হতে পারে এই সমস্যা।
- শরীরের প্রদাহ যদি খুব বেশি হয়, তবে সেই লক্ষণ পড়ে স্কিনের ওপরেও। সবশেষে এই কারণেও হতে পারে ব্রণ।
আর কী কী কারণে হতে পারে?
জেনেটিক কারণেও এই ধরনের ব্রণর সমস্যা দেখা যেতে পারে। এছাড়াও, হরমোনাল কারণে হতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রায় তৈলাক্ত প্রসাধনী কিংবা মেকআপ ব্যবহার এর অন্যতম কারণ। এছাড়াও আরেকটি বিষয়ে নজর দিতেই হয় সেটি হল স্ট্রেস - যে কারণে এটি মাত্রা ছাড়াতে পারে।
কী কী অভ্যাস বদলানো দরকার?
- লাইফস্টাইল এবং খাবার দাবারের অবশ্যই এক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে। সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের সঙ্গে স্ট্রেসের যেহেতু সম্পর্ক খুব সাংঘাতিক, তাই অবশ্যই প্রতিদিনের শরীরচর্চা এবং যোগাসন, ব্যায়াম এগুলি করা উচিত। স্ট্রেস বাস্টার হিসেবে যোগাসন অবশ্যই দরকার।
- পুষ্টিকর ডায়েট এবং জিঙ্ক যুক্ত খাবার যেমন ছোলা, ইয়গার্ট, পালং শাক, বাদাম, শস্য দানা, চিকেন খাওয়া খুব দরকার।
- বেশি মাত্রায় চিনি এবং দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এর থেকে অ্যালার্জির মাত্রা বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন < খালি পেটে যোগব্যায়াম! ভাল না খারাপ জেনে নিন >
কোন কোন বিষয়ে নজর রাখা দরকার :-
- একেবারেই ব্রণ গুলিকে ফাটাবেন না। হাত ও দেবেন না। এর থেকে কিন্তু ব্রণর মাত্রা আরও বাড়তে পারে।
- যদি ওষুধ লাগাতে শুরু করেন তবে ধৈর্য রাখুন, কারণ কম করে ৩ মাস সময় লাগবে। স্কিনকেয়ার নিজের মত করে সারতে যাবেন না। হরমোনাল সমস্যা থাকলেও, একজন ডার্মাটোলজিস্ট এর থেকে পরামর্শ নিন।
ত্বকের পরিচর্চার ক্ষেত্রে যেগুলি একদম ভুলবেন না :-
সাধারণ একটি ক্লিনজার অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে স্যালিসিলিক অ্যাসিড যুক্ত ক্লিনজার রাখা উচিত।
সিরাম অবশ্যই স্কিনের ক্ষেত্রে খুব দরকারী। রেটিনয়েড রাখবেন সঙ্গে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ময়েশ্চারাইজার স্কিনে অবশ্যই ব্যবহার করুন।