ঘুম থেকে ওঠার পরেও ছোটবেলা থেকে যে অভ্যাস আমাদের শেখানো হয় সেটি হল দাঁত মাজা। কিন্তু এর সঙ্গে যে দাঁতের তথা মুখগহ্বরে আরও নানান জীবাণু পরিস্কার করার বিষয় থাকে এটি অনেকেই ভুলে যান। দাঁত মাজলে শুধু হল না। বরং একে দুর্গন্ধমুক্ত এবং শক্ত রাখার প্রয়োজন আছে। তাই শুধু দাঁত মাজলেই হবে না একে মজবুত রাখতে তৈল প্রদানের প্রয়োজন আছে।
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা নিতিকা কোহলি বলেন, দন্ত তৈল বিষয়টি কিন্তু বেশ কার্যকরী এবং সহজেই সম্পন্ন করা যায় সঙ্গে কোনও ঝুটঝামেলা নেই। তবে দাঁতের পক্ষে ভীষণ উপকারী। তিনি বলেন,
দাঁত ভালও করে ব্রাশ করার পর মুখে নারকোল তেল অথবা তিলের তেল এক থেকে দুই চামচ দিয়েই সারা মুখে কুলকুচি করতে হবে এবং মিনিট দুয়েক পর সেটি ফেলে দিন। ফের হালকা গরম জল দিয়ে মুখ কুলকুচি করে ধুয়ে ফেলুন। এতে সময় একেবারেই লাগবে না তবে বেশ কাজে দেবে। এ তো গেল প্রথম কর্মসূচি। তবে তিনি বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করেছেন আদৌ এটি কেন দরকারি।
তার মতামত অনুযায়ী সকলের শুরু সুন্দর এবং স্বাস্থ্য মতেই হওয়া উচিত তবে সারাদিন ভাল যাবে। এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গের সঙ্গে দাঁত কিন্তু সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি যে যে কারণে এই অভ্যাস গ্রহণ করবেন ;
প্রথমত, দুর্গন্ধ থেকে আপনি রেহাই পাবেন। জিহ্বায় বেশিরভাগ সময়ই ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত থাকে সেই কারণেই মুখ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। তার সঙ্গেই দন্ত সংলগ্ন এলাকায় এটি ক্লোরিনের মত রিফ্রেশ ভাব নিয়ে আসে।
দ্বিতীয়ত, দন্ততৈল ওরাল থ্রাস নামক একটি রোগ সরাতে সক্রিয়। এটি জিহ্বায় হয় এবং এর থেকে পরবর্তীতে মাউথ আলসার হতে পারে। এই ইনফেকশন থেকে বাঁচতে এটি কাজ করে।
তৃতীয়ত, প্লেক দিনদিন দাঁতের গায়ে জমতে জমতে ক্যভেটিস সৃষ্টি করতে পারে। সময়ের সঙ্গে প্লেক ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে অ্যাসিড সৃষ্টি করতে পারে যেটি দাঁতে ক্ষত সৃষ্টি করে। তাই দাঁতকে ক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচাতে প্রতিদিন তৈলমালিশ কিন্তু করতেই হবে।
চতুর্থত, দাঁতের এনামেল এবং লালারস যাতে কম সময়ে কাজ করে তাড়াতাড়ি এগুলিকে সজাগ রাখতে কিন্তু তৈল কাজ করে। বাজে ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং গাম হেলথের উন্নতি ঘটায়।
পঞ্চমত, দাঁতের অতিরিক্ত প্রদাহ কম করতে এটি কার্যকরী। মারি ফুলে যাওয়া কম করে, এর থেকে রক্তক্ষরণ এমনকি পুঁজ যাতে না বেরোতে পারে সেদিকেও কাজ করে।
তাহলে আজ থেকে অভ্যাস করে প্রতিদিন দাঁত মাজার পর শুধুই তেল মালিশ!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন