Temples of Bengal: বাংলার জাগ্রত মন্দির! যেখানে এসে চিঠি দিলেই পূরণ হয় সব মনস্কামনা

Temples of Bengal: প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত ছুটে আসেন এই মন্দিরে। নিজেদের প্রার্থনা চিঠির আকারে জানিয়ে সেই চিঠি বেঁধে দিয়ে যান নির্দিষ্ট জায়গায়।

Temples of Bengal: প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত ছুটে আসেন এই মন্দিরে। নিজেদের প্রার্থনা চিঠির আকারে জানিয়ে সেই চিঠি বেঁধে দিয়ে যান নির্দিষ্ট জায়গায়।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Bara Kachhari Temple 1

Temples of Bengal: বাংলার মন্দির।

Temples of Bengal: পূণ্যভূমি বাংলা। এখানে নানা জায়গায় ছড়িয়ে আছে অসংখ্য মন্দির। যেসব মন্দিরে পুজোপাঠে পূরণ হয় মনস্কামনা। এমনই এক তীর্থস্থান রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। যার অলৌকিক কর্মকাণ্ডের ইতিহাস ২৫০ বছর আগে থেকে মানুষের সামনে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে।

Advertisment

জাগ্রত মন্দির

সময়টা ছিল বাংলায় বর্গি আক্রমণের কাল, ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দ। বাংলার নবাব ছিলেন আলিবর্দি খান। সেই সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বর্তমান বিষ্ণুপুর থানার বাখরাহাটের কাছে ঝিকুরবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা বর্গিহানা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই ছিলেন কৃষিজীবী। এই গ্রামটি একসময় সুতানুটি-গোবিন্দপুরের জমিদার সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের তালুকের অংশ ছিল। এই গ্রামে জঙ্গলের মধ্যে ছিল এক শ্মশান।

আরও পড়ুন- ৫১ সতীপীঠ! যেখানে দেবীর দেহাংশ পড়েছিল, এখন কী নাম সেসব মহাপীঠের?

Advertisment

কথিত আছে, বর্গি আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে গ্রামবাসীরা আশ্রয় নিয়েছিলেন শ্মশান সংলগ্ন গভীর জঙ্গলে। একদিন এক সাধু সেই জঙ্গল পেরিয়ে যাওয়ার সময় এই শ্মশানে আশ্রয় নেন। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীদের মুক্তিদাতা। জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন এসে তাঁর কাছে নানা অসুবিধা ও অসুস্থতার কথা বলতেন। আর, সেই সাধু তার অলৌকিক শক্তিবলে সেই সমস্ত সমস্যা মিটিয়েও দিতেন।

আরও পড়ুন- জাগ্রত 'বড় কালী' পুজো, ভিড় করেন অসংখ্য ভক্ত, দেবীর কাহিনি গায়ে কাঁটা দেবে!

publive-image

আরও পড়ুন- বাংলার জাগ্রত মন্দির, এলে পূরণ হয় মনস্কামনা, অগাধ বিশ্বাস ভক্তদের!

হঠাৎই এক চৈত্রমাসে নীলগাজনের দিনে সাধু মারা যান। গ্রামবাসীরা তাঁর দেহ না-পুড়িয়ে শ্মশানেই সমাধিস্থ করেন। যেখানে তাঁকে সমাধি দেওয়া হয়, সেখানে জন্ম নেয় একটি অশ্বত্থ গাছ। সেই গাছকেই বর্তমানে দেবতাজ্ঞানে পূজা করেন ভক্তরা। কথিত আছে সেই গাছে চিঠির আকারে মনস্কামনা জানালে, তা পূরণ হয়। ১৯৭৮ সালের বন্যায় গাছটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভক্তদের ইচ্ছায় সেখানে এক নতুন অশ্বত্থ গাছ বসানো হয়। তার তলে এক গোলাকার বেদী বানিয়ে সেখানে প্রতিষ্ঠা করা হয় শিবলিঙ্গ। যা এখন বাবা বড় কাছারির মন্দির নামে পরিচিত।

আরও পড়ুন- দেবীর ভয়ে পালিয়েছিল বর্গী সেনাও, ভক্তের অকাল মৃত্যু রুখেছিলেন জাগ্রত ব্রহ্মময়ী

এখানে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বেশ বড় আকারে পূজা হয়। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা মনস্কামনা জানাতে আসেন। ছোট্ট কাগজে নিজের প্রার্থনা লিখে তাঁরা মন্দিরের গায়ে নির্দিষ্ট স্থানে বেঁধে দেন। কথিত আছে, এতেই ভক্তদের দুঃখকষ্ট লাঘব হয়। পূরণ হয় মনস্কামনা। এমনটাই দাবি ভক্তদের। 

bengal Temple