Thailand as visa-free entry for Indians extends: ভারতীয় পর্যটকদের জন্য সুখবর! তা হল, যে ভারতীয়দের পাসপোর্ট আছে, তাঁদের জন্য ভিসা ছাড়ের প্রকল্প ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়াল থাইল্যান্ড। পাশাপাশি, বাড়াল ভিসা ছাড়ের কারণের সংখ্যাও। যার অর্থ হল, ভারতীয়রা আপাতত থাইল্যান্ডে বিনা ভিসাতেই যেতে পারবেন। আর, সেখানকার প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য, সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন। সেখানকার জীবনযাত্রা উপভোগ করতে পারবেন। তা-ও সম্পূর্ণ বিনা ভিসায়।
মে-নভেম্বরের মধ্যে থাই উৎসব
সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরের মধ্যে ফুকেটে নিরামিষ খাবারের উত্সব আয়োজিত হয়। সেখানে অসাধারণ নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে চলে এক অতি সুন্দর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। যেখানে যোগ দিতে, দর্শক হিসেব দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন যান। ভিসাহীন পর্যটনের সুযোগ বাড়ায়, সেই উৎসবে ভারতীয়দের যোগদান করতে সুবিধা হবে।
আলোর উৎসব
থাইল্যান্ডে নদী এবং হ্রদে সুন্দরভাবে সাজানো ক্রাথং (ভাসমান ঝুড়ি) ছাড়ার উৎসব পালিত হয় নভেম্বর মাসে। এই আলোর উত্সবকে বলে, লয় ক্র্যাথং। এই ক্রাথং ভাসিয়ে দেওয়ার সঙ্গেই পর্যটকরা নিজেদের মনের প্রার্থনা জানান। যা ক্রাথং ভেসে গিয়ে পূরণ করে বলেই ভক্তদের এবং পর্যটকদের বিশ্বাস। ব্যাপারটা অনেকটা গঙ্গায় প্রদীপ ভাসিয়ে দেওয়ার মত। দুটি উৎসবের মিল রয়েছে।
আয়ুথায়ার ধ্বংসাবশেষ দর্শন
থাইল্যান্ডের প্রাক্তন রাজধানী আয়ুথায়ার প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ, এই দেশের সমৃদ্ধ ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। এখানকার মন্দিরগুলোর স্থাপত্য পর্যটকদের রীতিমতো মুগ্ধ করে থাকে। ভারতে যেমন অযোধ্যার প্রতি ভক্তদের বিশেষ আবেগ আছে। থাইল্যান্ডবাসীর কাছে সিয়ামের রাজধানী আয়ুথায়ার গুরুত্বও তেমনই। আয়ুথায়ার প্রতিষ্ঠাতা রাজা রামাথিবোদি ইচ্ছাকৃতভাবে এই নামটি বেছে নিয়েছিলেন। হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব, ভগবান রামের জন্মস্থানের সঙ্গে মিল রেখে এই নামটি বেছে তিনি একটি স্পষ্ট সংযোগ স্থাপন করেছিলেন। এই অঞ্চলের সংস্কৃতিতে হিন্দুধর্মের গভীর প্রভাব রয়েছে। রামায়ণের থাই সংস্করণ রামাকিয়েনের মধ্যেও আয়ুথায়ার কথা আছে। এই রামাকিয়েন থাই সাহিত্য এবং সংস্কৃতির ভিত্তি গড়ে তুলেছিল।
আরও পড়ুন- বিরাট ছক? দেশে মুসলিম প্রার্থীদের হাল জানলে চোখ কপালে উঠবে!
বৌদ্ধ ঐতিহ্য
ব্যাঙ্ককের ওয়াট ফো-র রাজকীয় মন্দিরে রিক্লাইনিং বুদ্ধ মূর্তি আছে। এখানে এলে বৌদ্ধ ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা যায়। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের অনুষ্ঠানের সাক্ষী হওয়া যায়।
জঙ্গল অভিযাত্রী হওয়ার সুযোগ
উত্তর থাইল্যান্ডের সবুজ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে দুঃসাহসিক ট্রেক করার সুযোগ দেওয়া হয়। এখানে লুকোনো জলপ্রপাতগুলো পর্যটকদের মন টানে। বন্যপ্রাণীর মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ মেলে। সবমিলিয়ে এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভাণ্ডার।