Advertisment

বাংলার চাল-চলন, পোশাকে আধুনিকতার ছোঁয়া এনেছিল ঠাকুর পরিবার

সম্প্রতি ফ্যাশন ডিজাইনার নিলয় সেনগুপ্ত কাজ করেছেন এই ঠাকুর বাড়ির সাজপোশাক নিয়েই। কিছুদিনের মধ্যেই বিলেতে পাড়ি দিচ্ছে তাঁর গবেষণামূলক কাজ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ঠাকুরবাড়ির সাজ পোশাকে ফ্যাশন ডিজাইনার নিলয় সেনগুপ্তের সঙ্গে বাকি কলাকুশলীরা

বাঙালির চিন্তায়, মননে, ভাবনায়, সংস্কৃতিতে যেমন ঠাকুর পরিবারের প্রভাব অস্বীকার করা যায় না, ঠিক তেমনটাই কিন্তু ফ্যাশনেও। বাংলার পোশাক আশাক চাল-চলনের বিবর্তন অনেকটাই ঘটেছিল জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের হাত ধরে।

Advertisment

সম্প্রতি ফ্যাশন ডিজাইনার নিলয় সেনগুপ্ত কাজ করেছেন এই ঠাকুর বাড়ির সাজপোশাক নিয়েই। কিছুদিনের মধ্যেই বিলেতে পাড়ি দিচ্ছে তাঁর গবেষণামূলক কাজ। দিন তিনেক আগে কলকাতায় আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হল নিলয়ের সাম্প্রতিকতম কাজ।

ঠাকুর পরিবারের সদস্যরা এক দিকে যেমন চিন্তাধারায় সমসাময়িকদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন, তেমনই তাঁদের সাজপোশাকে ছিল স্বাতন্ত্রের ছোঁয়া। আভিজাত্য, আরাম এবং যুগোপযোগী, এই তিনটি গুণ থাকলে তবেই সেই সাজপোশাক ঠাই পেত ঠাকুর পরিবারে। দ্বারকানাথ ঠাকুর নাকি সে যুগে পায়ের জুতোয় মুক্তো পরতেন। বাড়ির ছোট ছোট মেয়েদের পড়াতে মাস্টার আসত ঠাকুর বাড়িতে। কিন্তু মাস্টারের সামনে বাচ্চা মেয়েরা শাড়ি পরে বসবে, এ ভারী অপছন্দ ছিল মহর্ষির। তাই ছোট মেয়েদের জন্য চল হল ফ্রকের সঙ্গে যোধপুরি চোস্ত পরার। দেশের প্রথম আইএএস সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর চাকরি সূত্রে দীর্ঘদিন ছিলেন মহারাষ্ট্রে। সেখান থেকে ফেরার পর তাঁর স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবী চল আনলেন শাড়িতে মারাঠা কাজ এবং ব্রোচের। মূলত হিন্দু, মুসলিম এবং বিলিতি তিন ধারার মেলবন্ধন হয়েছিল ঠাকুর বাড়ির ফ্যাশনে।

"ফ্যাশন মানে যে আবরণ বয়ে নিয়ে যাওয়া সহজ, ঠাকুর পরিবারে ফ্যাশন নিয়ে অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রচুর পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে", ডিজাইনার নিলয় সেনগুপ্ত এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানালেন তেমনটাই। সেই সঙ্গে উল্লেখ করলেন দেশজ অর্থনীতি লাভবান হওয়ার কথাও। জানা গেল বিলেতে ঠাকুর বাড়ির সাজ পোশাক নিয়ে যে প্রদর্শনীতে যাচ্ছেন, তাঁর সমস্তটাই তৈরি হয়েছে খাদি থেকে। অর্থাৎ এই ফ্যাশন কিন্তু ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশের পক্ষেও সহায়ক।

bengali fashion
Advertisment