বিভিন্ন পেশায় অসাধারণ অবদানের জন্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের সংবর্ধনা জানাবে ব্রিটেনের এশিয়ান পাবলিকেশনস লিমিটেড। ৬ জুন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে হাউজ অফ কমন্সের চার্চিল হলে লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধে সাড়ে সাতটায় একটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এডুকেশন সহ মোট ১০টি ক্যাটাগরিকে বেছে নেওয়া হয়েছে পুরস্কার প্রদানের জন্য।
NSHM Knowledge Campus কে পুরস্কৃত করা হবে বছরের সেরা এডুকেশন ইনস্টিটিউড ক্যাম্পাসের জন্য। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সন্ত্রাস দমন দপ্তরের প্রধান নীল বসুকেও বেঙ্গল প্রাইড পুরস্কারে ভূষিত করা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য ও সমাজ কল্যাণ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কৃত হবেন চিকিত্সক প্রতাপ রেড্ডি। তালিকায় রয়েছেন প্রবীর চ্যাটার্জি, এনাম আলি, নৈহাটিতে অনবদ্য পেপার তৈরি করে নজির সৃষ্টির জন্য সম্মানিত করা হবে বাকিংহামের মহুয়া বসুকেও। সংবাদমাধ্যমে অবিস্মরণীয় ভূমিকার জন্য পুরস্কৃত করা হবে এনডিটিভি-র বর্ষীয়ান সাংবাদিক প্রণয় রায়কে। বিশ্ব অর্থনীতি ও সমাজ সংস্কার ক্ষেত্রে তাঁর অবিস্মরণীয় কীর্তিকে সম্মান জানাতে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডাঃ অমর্ত্য সেনকে। বাংলা তথা বিশ্বে সঙ্গীতে অবদানের জন্য ২০১৮ সালের বেঙ্গল প্রাইড পুরস্কারের তালিকায় রয়েছেন সাহানা বাজপেয়ী।
এ বিষয় সাহানার বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি ইংরেজিতে যা জানান তার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, "আর্ট অ্যান্ড কালচার ক্যাটাগরিতে আমাকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তার জন্য আমি ভীষণই খুশী, পাশাপাশি অবাকও। এটাই আমার প্রথম অ্যাওয়ার্ড এবং প্রথমটিই এতো বড় মাপের একটি পুরস্কার। এমন একটা প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে পারা সত্যিই গর্বের। হাউস অফ কমনস-এ অ্যাওয়ার্ড শো-এর জন্য অপেক্ষা করছি।"
আরও পড়ুন: Musical Apps: গান গাইতে গুরু শিক্ষা, নাকি অ্যাপের পরামর্শই যথেষ্ট?
বাঙালি মানে তাঁর কাছে কি শুধুই আবেগ? একথা জানতে চাওয়া হলে সাহানা জানান, বাঙালিত্ব তিনি তাঁর আত্মার মধ্যে ধারণ করেন। এ প্রসঙ্গে ইংরেজিতেই প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত সেই গানের লাইন উদ্ধৃত করেছেন সাহানা, "আমি তারই হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি।"
এই অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা অ্যাডভাটেক হেল্থ কেয়ার ইওরোপ লিমিটেডের পরিচালক এবং সিইও শমিত বিশ্বাস জানান, "ইউএসএ-তে প্রায় ৩২ শতাংশ বাঙালি, সেখান থেকেই আমার মাথায় এই অ্যাওয়ার্ডের চিন্তা আসে। এরপর আমি এশিয়ান ভয়েস পাবলিকেশনকে অ্যাপ্রোচ করি। গত বছর থেকে প্রচুর নমিনেশন জমা পড়েছে। যেহেতু এটা প্রথম বছর, সেই কারণে খুব বেশি ক্যাটাগরি রাখা হয়নি। পরবর্তীকালে এ নিয়ে আরও চিন্তাভাবনা রয়েছে। ইউএস, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো বিভিন্ন দেশেই আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করব। আমি নিজে দেখেছি বেশিরভাগ বাঙালিই ভারতের বাইরে থেকে ভারতের জন্য কাজ করছেন। আমাদের লক্ষ তাদেরকেই বিশ্বের দরবারে হাজির করা। যদিও গোটা ভারত নয়, মূলত পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বাঙালিরাই আমাদের এই পুরস্কারের মূল লক্ষ।"