হাজার বছরের প্রাচীন মন্দির, ভক্তের কামনা পূরণে জাগ্রত দশঘরার বাবা পঞ্চানন

আগে ছিল মাটির মন্দির। এখন সেটাই ভক্তদের দানে হয়েছে সময়ের উপযোগী।

আগে ছিল মাটির মন্দির। এখন সেটাই ভক্তদের দানে হয়েছে সময়ের উপযোগী।

author-image
Chinmoy Bhattacharjee
New Update
Panchanan Temple

হুগলির দশঘরার বাবা পঞ্চানন মন্দির অত্যন্ত বিখ্যাত। এই মন্দির ঘিরে রয়েছে বহু অলৌকিক কাহিনি। দশঘরা এলাকাটি ধনিয়াখালি থানার অন্তর্গত। কথিত আছে, ভক্তরা এই মন্দিরে গিয়ে যে কামনা জানান, তা-ই পূরণ হয় দয়ালু বাবা পঞ্চাননের কৃপায়। আর, সেই কারণেই বছরভর এই পঞ্চানন মন্দিরে ভক্তদের বীর লেগেই থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মন্দিরটি হাজার বছরের পুরোনো। আগে এই অঞ্চল ছিল ঘন জঙ্গলে ভরা। সেই জন্য মন্দিরে লোকজন কম যেতেন। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। বসতি বেড়েছে। আর, তাই মন্দিরে আগের তুলনায় ভিড় বেশি হয়।

Advertisment

আগে এই মন্দির ছিল ছোট মাটির ঘর। এখন ভক্তদের অনুদানে মন্দিরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে। এই মন্দির পাকা করা হয়েছে। মন্দিরটি পাকা করে তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রধান উদোক্তা ছিলেন তপনকুমার সাহা। এখন তাঁর ছেলে বাবু সাহা এই মন্দিরের অন্যতম হর্তকর্তা ও বিধাতা। হাওড়া বা হুগলিই শুধু নন। দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ভক্তরা ছুটে আসেন। নানা সমস্যার কথা জানিয়ে, শেষমেষ প্রতিকার চান। সেই অনুযায়ী ভক্তদের সাফল্যও মেলে। এমনটাই কৃপা বাবা পঞ্চাননের। দাবি এই মন্দিরের ভক্তদের।

ভক্তদের দাবি, মন্দির কমিটির একাধিক সদস্যকে ভগবান পঞ্চানন স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন। তাঁর পুজো ভালোভাবে করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই ভক্তরা এখানে মন্দির পাকা করে পুজো শুরুর দিকে ঝুঁকেছেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে পুজো হয়। এছাড়াও সারাবছর বিভিন্ন অনুষ্ঠান এই মন্দিরে বেশ সমারোহের সঙ্গেই পালিত হয়। বিশেষ করে শিবরাত্রির আয়োজন হয় ঘটা করে।

আরও পড়ুন- ঐতিহ্য এবং আস্থার মিশ্রণ, খিদিরপুরের ভূকৈলাস শিব মন্দির

Advertisment

ভক্তদের দানে বেড়ে উঠেছে মন্দির সম্মত্তি। সেই অর্থ থেকেই চলে এই মন্দিরের কাজকর্ম। স্থানীয় বাসিন্দারা এই মন্দিরের প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়ে থাকেন। এখানে পঞ্চানন ঠাকুরকে ভোগ হিসেবে ফলমূল, মিষ্টি, নৈবেদ্য- দৈনিক এবং বাৎসরিক অনুষ্ঠানে নিবেদন করা হয়। ভগবান পঞ্চাননকে পুজো করা হয় শিবের জ্ঞানে।

Temple Lord Shiva pujo