ধর্মভূমি ভারত। যেখানে নানা জায়গায় ছড়িয়ে আছে অসংখ্য তীর্থক্ষেত্র। এই সব তীর্থক্ষেত্রের প্রতিটির এক আশ্চর্য মহিমা আছে। আমরা অনেকেই সেসব জানি না। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে এই সমস্ত তীর্থস্থানের বিশেষ গুরুত্ব আছে। এর মধ্যে এমন এক মন্দির আছে, যেখানে পুজো দিলে জীবন থেকে কালসর্পদোষ (পিতৃদোষ)-এর মত নানা কুপ্রভাব দূর হয়ে যায়।
উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশের লছমনঝোলায় রয়েছে এই গরুড় চট্টি। কথিত আছে যাঁরা এখানে পুজো দিতে পারেন না, তাঁরাও যদি এই মন্দিরে আসেন, তবে কালসর্পদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নীলকণ্ঠ মার্গ নামে রাস্তার ওপরই রয়েছে এই মন্দির। ভগবান শিব বিষ পান করে নীলকণ্ঠ হয়েছিলেন। যেখানে এসে প্রথমে তা পরিক্রমা করতে হয়। আর, পুজো দিতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন এখানকার পুরোহিত তথা পণ্ডিত দীনেশচন্দ্র ভট্টর সঙ্গে। তাঁর মোবাইল নম্বর ৯৮৯৭৫৪৩৯২৫, ৮১৬২৫৪৩৯২৫।
পুজো দিতে গিয়ে দু'চার দিন থাকার জন্য এখানে যাবতীয় ব্যবস্থা আছে। আর্থিক সঙ্গতি অনুযায়ী রয়েছে ধর্মশালা থেকে শুরু করে নানা ব্যবস্থা। পুজোর যাবতীয় ব্যবস্থা করে দেন পুরোহিতই। ভক্তরা তারপরও চাইলে যেখান থেকে যাচ্ছেন, সেখানকার কোনও বিশেষ সামগ্রী সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন পুজোর জন্য।
এই মন্দির সিদ্ধপীঠ বলে পরিচিত। গরুড়পুরাণে গরুড় দেবতার কথা তো বলা আছেই। বিষ্ণুপুরাণেও রয়েছে গরুড় দেবতার নানা কাহিনি। আবার, রামায়ণ থেকে জানা যায়, নাগপাশে বদ্ধ রাম-লক্ষ্মণকে বন্ধনমুক্ত করেছিলেন গরুড় দেবতা। তিনি অত্যন্ত বিনয়ী কিন্তু পরম ভক্ত। আর মহাশক্তিশালী। সাপেদের পরম শত্রু এই গরুড় ভগবান।
আরও পড়ুন- পূরণ করেন মনস্কামনা, জাগ্রত দেবী আজও প্রতিরাতে স্নান করেন পাশের পুকুরে
ঈশ্বর বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করেন যে মানুষ সময়ের ফেরে ভোগে। যার পিছনে রয়েছে গ্রহ-নক্ষত্রের দোষ। আর, সেই গ্রহ-নক্ষত্রের দোষ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নানা বিধি এবং বিধান রয়েছে। বিপুল অর্থও সেজন্য খরচ হয়। তার বদলে সামান্য পুজোপাঠেও যদি এই গ্রহ-নক্ষত্রের দোষ থেকে রেহাই পাওয়া যায়, আর তা যদি আজীবন কার্যকরী হয়, তার চেয়ে ভালো কিছু হয় না। সেই হিসেবে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তের ভক্তদের কাছে এই গরুড় চট্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। যেখানে নিত্য সমস্যা কাটাতে ছুটে আসেন দূর-দূরান্তের ভক্তরা।