নদিয়ার মাঝদিয়ায় রয়েছে বিখ্যাত পাগলাখালি মন্দির। প্রতিদিন অসংখ্য ভক্ত আসেন এই মন্দিরে তাঁদের মনোবাসনা জানাতে। আবার কেউ আসেন তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ায় পুজো দিতে। নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর থেকে সহজে এই মন্দিরে যাওয়া যায়। কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের পাগলা বাবার এই মন্দির। যার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে নদী। গ্রাম্য পরিবেশের মধ্যে অবস্থিত এই মন্দির যে কত মানুষের ভরসাস্থল, তা একবার না-গেলে বুঝিয়ে বলা মুশকিল।
মাঝদিয়ার খাল বোয়ালিয়া বাসস্টপ থেকে স্বর্ণখালি শিমুলিয়া রোড ধরে পাগলাখালি রোডের ওপর দিয়ে নদী পেরিয়ে যাওয়া যায় এই মন্দিরে। এর পাশাপাশি, কৃষ্ণনগর থেকে কৃষ্ণগর-করিমপুর রোড ধরে দইয়ের বাজার বাসস্টপ পেরিয়ে এই মন্দিরে যাওয়া যায় সড়কপথে। গ্রাম্য পরিবেশ হলেও পাকা রাস্তা। মানে, রাস্তাঘাট বেশ ভালো। তাই যাতায়াতে ভক্তদের তেমন একটা অসুবিধা হয় না। এই পাগলা বাবার মন্দিরে পুজো করে যদি কোনও ভক্ত যদি তাঁর মনোবাসনা জানান, তবে সেই মনস্কামনা অবশ্যই পূর্ণ হয়। এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের।
আর, মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ার পর আবার এসে পুজো দিতে হয়। এখানে এমনটাই নিয়ম। আর, যদি কেউ মনে করেন, এই মন্দিরের উদ্দেশ্যে কিছু দেবেন, তবে এখানে আসা ভক্তদের জন্য রান্না করা খাবার বিলির প্রথা এখানে রয়েছে। কথিত আছে, এই মন্দির থেকে কোনও ভক্ত একদিনও অভুক্ত অবস্থায় ফেরত যায় না। সোম, বৃহস্পতিবার এখানে ভক্তসংখ্যা বেশি থাকে। বটগাছের চারপাশ ঘিরে রয়েছে মন্দির। এই মন্দিরকে ঘিরে মেলা বসে।
আরও পড়ুন- বিদ্যা থেকে সন্তানলাভ কিংবা রোগমুক্তি, নাচিন্দার জাগ্রত শীতলা মন্দির ভক্তদের বল, ভরসা
আশপাশের অঞ্চলের বাসিন্দারা তো বটেই, দূর-দূরান্ত থেকে এই মন্দিরে ভক্তরা ছুটে আসেন। কেউ আসেন রোগ সারাতে। কেউ আসেন চাকরি বা বিয়ের বাধা দূর করতে। কেউ বা আসেন সাংসারিক অশান্তি থেকে মুক্তিলাভের আশায়। মন্দিরটির আশপাশে আরও কয়েকটি ছোট মন্দির রয়েছে। যাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ হয়েছে, তাঁরা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ওই সব ছোট মন্দির তৈরি করে দিয়েছেন। মন্দিরের সামনেই বিভিন্ন দামের পুজোর সামগ্রী বিক্রি হয়। ফলে, ভক্তদের পুজোর সামগ্রী সংগ্রহ করতে কোনও অসুবিধা হয় না।