সারাবছর বাঙালির উৎসব অনুষ্ঠানের শেষ নেই। আজ নববর্ষ তো কাল এই পুজো সেই পুজো! আর সেপ্টেম্বর মাস পড়তে না পড়তেই মনের ঝোলা ভর্তি হয়ে যায় দুর্গাপুজোর আনন্দে। সেই যে শুরু হল ব্যস! এক্কেবারে জগদ্ধাত্রী পুজো দিয়েই রেশ কাটে সকলের। তার সঙ্গে তো খাওয়াদাওয়া লেগেই আছে। এবং তাল লাগিয়ে শরীর এদিক ওদিক হতেই থাকে।
পুজো মানেই মিষ্টি, আর মিষ্টি মানেই মনের সুখে পায়েস থেকে মালপোয়া কি নেই তাতে। কিন্তু! আপনার যদি ব্লাড সুগার থাকে তাহলে কিন্তু এত অনিয়ম একেবারেই চলবে না। খাবেন সবই, তবে অল্প। আর তার সঙ্গে মেনে চলতে হবে কিছু নির্ধারিত ডায়েট প্ল্যান। খাবারে এদিক ওদিক করলে একেবারেই চলবে না। বেশি অনিয়ম শরীরে বাঁধ সাধতে পারে। উৎসবে আনন্দে নিজেকে সুস্থ রাখাটাও বেশ দরকারি। নয়তো চারিদিকের খুশি আপনার কাছে ফ্যাকাশে মনে হবে।
তাই পুজোর জন্য তৈরি হতে গেলে শুধু সাজ পোশাক নয়, শারীরিক ভাবে আরও আগে থেকে তৈরি হন। কী রকম? এই যে ধরুন আগে থেকে ছোট্ট প্ল্যান করে রাখলেন! তাহলে কিন্তু বেশ হয় তাই না?
প্রথমেই, ভাবনা চিন্তা করে নিন কী ধরনের খাবার খাবেন। মিষ্টি খেলেও যেন সুগার ফ্রি হয় কিংবা কম ক্যালোরি যুক্ত হয়। রসগোল্লা আপনি নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। তাতে কোনও বাধা নেই। রসের মিষ্টি হলেও অল্প রস চিপে ফেলে দিন তারপরেই খান।
দ্বিতীয়, খাবার দাবারে অনিয়ম এক্কেবারে না। বাইরে খেতে হলেও দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার মিস করা কিন্তু চলবে না। সারাদিনের খাবার সম্পর্কে সচেতন হন।
তৃতীয়, অনেকের মধ্যেই পূজো চলাকালীন বেশ উপোস করার লক্ষণ থাকে। এটিই থেকে যতটা পারবেন বিরত থাকুন। সুগার রোগীদের পক্ষে এটি মারাত্মক ক্ষতিকারক। বিস্কুট জল হলেও খান পেট খালি রাখবেন না।
চতুর্থ, অমায়িক খাটনি কিংবা সারাদিন ঘুরে আনন্দ করে বেড়ালেই হবে না। তার সঙ্গে প্রয়োজন সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম। খেয়াল রাখবেন আপনার বাঁধন ছাড়া আনন্দ যেন শরীরের পক্ষে কাল না হয়। বিশ্রাম নেবেন, সঠিক মাত্রায় ঘুমাবেন তারপর তো আনন্দ রইল!
পঞ্চম, শারীরিক আর্দ্রতা বজায় রাখুন। জল খান, নুন দিয়ে লেবুর সরবত খেতে পারেন। টক দই ফেটিয়ে চিনি ছাড়া লস্যি খেতে পারেন। আবহাওয়া এমনিই গোলমেলে তাই নিজেকে সুস্থ রাখুন।
ব্যস!! এইদিক গুলো একটু ভেবে চিন্তে নিন তারপর পুজোর আনন্দ আর দেখে কে!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন