Coronavirus And Mistakes: করোনা এবং ওমিক্রন দুই ভাইরাসের মিলিত সংক্রমণ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। তারমধ্যে রাজ্য জুড়ে বিধি নিষেধ যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে বেশ কিছু আলগা বিষয়ও। বড়দিনে পার্ক স্ট্রিট এবং নতুন বছরে নিয়ম ভেঙে লাগামছাড়া আনন্দই আজকে সংক্রমণের বৃদ্ধির মূল কারণ। ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই থেকেও ভয়ানক সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে।
বারবার চিকিৎসকরা জানিয়েছে নিজেদেরকে সুস্থ থাকতে হবে। সমস্ত রকম প্রটোকল মেনে রাস্তায় যতটা সম্ভব কম বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে একা নয়, অন্যকেও হতে হবে সতর্ক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে এটি এত বেশিমাত্রায় অনেকের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই চারিপাশে একটু চোখ কান খোলা রাখা প্রয়োজন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে দুটি ডোজ সম্পূর্ণ সেই ব্যক্তিরাই আক্রান্ত হচ্ছেন করোনা থেকে। এবং এর জন্য চিকিৎসকরা বারবার ইঙ্গিত করছেন মানুষের আচরণ, ধারণা এবং ভুলের দিকে।
বেশ কিছু ভুল ধারণাই আপনাকে এই মারণ রোগের কবলে পুনরায় ফেলতে পারে। প্রথম যেই বিষয়টি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেটি হল অদ্ভুত এক ধারণা যে একবার করোনা আক্রান্ত হলেই নাকি দ্বিতীয়বার আর সুযোগ নেই! তবে এতে ভুল রয়েছে অনেক, ইমিউনিটি বেশ কিছুদিন পর থেকেই কমে যায়। এবং ওমিক্রনের জেরে ভাইরাস স্টিমুলেশনের মাধ্যমে সহজেই যেকোনও মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষ করে ছয় মাস পর থেকেই যত সম্ভাবনা দেখা যায়। তাই এই ধারণা একেবারেই ভুল, নিজেকে সতর্ক করুন।
আপনার দুটি ডোজ সম্পূর্ণ বলেই, বাইরে মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন? তবে রোগ স্বয়ং আপনার সামনে উপস্থিত হতে বাধ্য। ভ্যাকসিন হয়ে গিয়েছে বলেই কোনওরকম বিধি নিষেধ না মেনেই রাস্তায় ঘুরবেন এমন যেন না হয়। বেশিরভাগ যারা একদম প্রথম দিকেই ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকের ক্ষেত্রেই ভাইরাসের ছোঁয়াচে ভাব বেশিই দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ ওমিক্রন এবং ডেল্টা দুই দ্বারাই সংক্রমিত হচ্ছেন।
শুধু মাস্ক নয়, নিজেদেরকে সতর্ক রাখতে চোখে চশমা এবং গ্লাভস দুটোই ব্যবহার করা আবশ্যিক। কারণ চোখের মাধ্যমে এবং স্পর্শ থেকেও ছড়াতে পারে ওমিক্রন। যদিও বা এতে হাসপাতাল যাওয়ার প্রয়োজন কম পড়ছে তবে রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ শুধু করোনা তেই আক্রান্ত, সুতরাং ঝুঁকি থাকছে। Who থেকেও এমনই জানানো হয়েছে যাতে একেবারেই হালকা চালে এটিকে না নেওয়া হয় তবেই কিন্তু মুশকিল। বিশ্বের প্রচুর স্থানে এর থেকে মৃত্যু কিন্তু ঘটছে তাই অবিলম্বে সতর্কতা প্রয়োজন।
অযথা প্যারাসিটামল এবং পেইনকিলার ব্যবহার। অর্থাৎ জ্বর হলেই একগুচ্ছ প্যারাসিটামল খাবেন না। সুযোগ বুঝে টেস্ট করিয়ে নিন। এখন বাড়িতেও কোভিড কিট পাওয়া যায়। সেই থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে জেনে যাবেন। কারণ বেশি দেরি হলেই আপনার চারপাশের সকলেই এতে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
এখনই কিন্তু মহামারী কাটেনি। তাই যতটা পারবেন লোকজনের জমায়েত থেকে দূরেই থাকুন। অনেকেই এমন ভাবছেন যে সব খারাপের অতির ঘটেছে তবে সেটি একেবারেই সত্যি নয়। বরং মাথায় রাখবেন এই দুই মাস নিজেকে যথেষ্ট সতর্ক এবং যত্নে রাখতেই হবে। বারবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই সংক্রমণ আরও চাগাড় দেবে তাই রাশ এখন থেকেই টানতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন