হাই ব্লাড সুগার কিংবা প্রেসারের মতই কোলেস্টেরল কমানোর রাস্তাও খুব কঠিন। একবার শরীরে ঢুকে গেলে খাবার দাবারে অনেক বদল আনতে হয় সঙ্গেই নানা ধরনের ওষুধ পথ্য তো রয়েছেই। তবে আয়ুর্বেদের বেশ কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে সহজেই কিন্তু এর থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
কোলেস্টেরল আসলে কী?
এটি এমন এক চর্বি তথা মাখন জাতীয় পদার্থ যেটি দৈহিক কোষগুলি তে পাওয়া যায়। সবথেকে বড় কথা, লিভার থেকে এটি তৈরি হয়। সামান্য পরিমাণে শরীরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তবে অতিরিক্ত মাত্রায় থাকলে এর থেকে প্রাণঘাতী ঝুঁকিও থাকতে পারে। সঙ্গেই হার্টের সমস্যা তো রয়েছেই। এছাড়াও বেশ কিছু খাবারেও কোলেস্টেরল থাকে, সেগুলি কম খাওয়াই ভাল।
পুষ্টিবিদ ডিকসা ভাবসর বলছেন, আয়ুর্বেদ একাই কোলেস্টরল কম করতে সক্ষম তাও আবার যেকোনও বয়সের ক্ষেত্রে। ত্রিশ থেকে সত্তর সব বয়সেই বেশ কিছু পরিবর্তন এবং জীবন ধারার বদল আনলেই কিন্তু এর থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সঙ্গে সেবন করতে হবে বেশ কিছু ফল এবং মশলা, তাহলেই কেল্লাফতে!
আমলা অথবা আমলকী, এটিকে গুড়ো কিংবা জুস হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। তবে সারাদিনে এটিকে খাওয়া কিন্তু বেশ উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
- জিরে, মেথি কিংবা মৌরি মিশিয়ে একটি চা বানাতে হবে। মৌরি এবং জিরে দুটিকে একসঙ্গে আয়ুর্বেদিক মুখওয়াস হিসেবে পরিচিত, সঙ্গেই শরীরের পিত্ত দশাকে উন্নত করতে এটি সহায়তা করে। পিত্ত দশা কোলেস্টেরলের সঙ্গে আংশিক ভাবে হলেও সম্পর্কযুক্ত।
- রসুন, খালি পেটে এক কোয়া খেলে কিন্তু ব্লাড প্রেসারের সঙ্গে কোলেস্টেরলও কমতে পারে। শুকনো আদা হারবাল চায়ে মিশিয়ে দিলে সেটিকে সারাদিনে দুবার খেলে সঙ্গেই আদা গরম জলে ফেলে সেটি পান করলে কিন্তু শরীরের পক্ষে ভাল প্রমাণিত পারে।
- অর্জুন গাছের ছাল, হার্টের জন্য ভাল খুবই। এটিকে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এটি খুব কার্যকরী। বিশেষ করে এটিকে রাত্রিবেলা খেলেই কিন্তু বেশ ভাল। সকালবেলা খেলে কিন্তু গরম জল দিয়ে খেলেই ভাল। কোলেস্টেরল যেহেতু সমান্তালে হার্টের ক্ষতি করতে পারে তাই এই ভাবনাগুলি রাখতেই হবে।
- ট্রিকাতু যেটিকে আয়ুর্বেদের তিনটি উপাদান মিশিয়ে তৈরি করা হয় যেমন মরিচ- পিপলি এবং শুন্তী গাছের পাতা মিশিয়ে এটির মিশ্রণ তৈরি করলে এবং পান করলে সেটি আপনার পক্ষে ভাল হতে পারে।
- ত্রিফলা পাউডার আয়ুর্বেদের এক অনন্য উপাদান। এটি কিন্তু জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কোলেস্টেরলের পক্ষে ভাল প্রমাণিত হতে পারে।
- যোষ্ঠি মধু, শরীরের পক্ষে ভাল প্রমাণিত হতে পারে। চা এবং চূর্ণ মিশিয়ে সেটিকে পান করলে কোলেস্টেরল কম হতে পারে।
তাই শুধু ওষুধ নয়, বরং আয়ুর্বেদের সঙ্গেও আপনি জুড়তে পারেন।