Advertisment

কোভিড রুখতে শিশুদের জন্য সবথেকে কার্যকরী ভ্যাকসিন! জানুন

শিশুদের টিকাকরণ আবশ্যিক! এতে ওদেরই লাভ

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
লক্ষ্য ১০ কোটি, সোমবার থেকে শুরু ১৫-১৮ বছর বয়সীদের কোভিড টিকাকরণ

শিশুদের পক্ষে সবথেকে বেশি কার্যকরী টিকাকরণ

১৫ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এবং চারিদিকের পরিস্থিতি অনুযায়ী সবথেকে বেশি কোনও ভাবে যদি বাচ্চাদের রোগমুক্ত রাখা যায় সেটি হল টিকা করণ। প্রচুর বাবা মায়েরা তৎপরতার সঙ্গে বাচ্চাদের ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার পশ্চিম বাংলা জুড়ে নানান স্কুলে স্কুলেও শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তবে এই ভ্যাকসিন নিয়ে কিন্তু অনেক ভুয়ো তথ্য শোনা যাচ্ছে।

Advertisment

এমন অনেক বাচ্চা আছে যারা শারীরিক ভাবে দুর্বল কিংবা কোনও রোগের শিকার, তাদের মধ্যে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে। ফলে ভাইরাসের চোখ রাঙানি কিন্তু কম করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে ১২ বছরের উপরে যারা রয়েছে তাদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে মার্চ মাস থেকেই। তবে শিশুদের শরীরে জ্বর আসবে, ব্যথা বেদনা বাড়বে এবং সর্বোপরি নিজেদের কে দিয়ে তারা বিবেচনা করছেন আদৌ কোনও লাভ হবে না ভ্যাকসিন গ্রহণ করে, তাই শিশুদের পিছিয়ে রাখছেন এই মহৎ কাজ থেকে। এটি কিন্তু খুব খারাপ! 

চিকিৎসকরা বারবার জানাচ্ছেন খুব বেশি হলেও হালকা জ্বর, হাতে ব্যথা এগুলোই হতে পারে কিন্তু তারপরেও অনেকেই এমন আছেন যারা সত্যিই ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে সাবলীল হতে পারছেন না। চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন যদি বাচ্চাদের শরীরে ভ্যাকসিন না পৌঁছায় তবে মাল্টি সিস্টেম ইনফ্লেমেটরি সিনড্রোমের মত সমস্যায় ভুগতে শুরু করবে তারা। তাই ভুয়া তথ্য বাদ দিয়ে সঠিক বিষয়টি জানা প্রয়োজন। তবেই কিন্তু শিশুদের জন্য মঙ্গল ; 

ধারণা : ভ্যাকসিন বাচ্চাদের জন্য সুরক্ষিত নয় 

সত্য : চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন ভ্যাকসিন বাচ্চাদের শরীরে প্রয়োগ করার আগেই সেটিকে বারবার দেখে নেওয়া হয়েছে, পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সেই গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভ্যাকসিন একেবারেই শিশুদের শরীরের পক্ষে কার্যকরী কোনও সমস্যা নেই তাতে। এমনকি ট্রায়ালের সময়ও কিন্তু সেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়। সমস্ত রকম প্রটোকল মেনেই ভ্যাকসিন পুনরায় প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি কোনও ভাবে বাচ্চার DNA কে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। তাই এটি সম্পূর্ণ মাত্রায় সঠিক। হাতে ব্যথা কিংবা জ্বর ছাড়া কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। 

ধারণা : করোনা সংক্রমণ হলেই ইমিউনিটি বাড়বে, ভ্যাকসিনের প্রয়োজন নেই! 

সত্য : এই তথ্যটি মারাত্মক মাত্রায় ভুল। তার কারণ শরীরে রোগের জন্ম নিলেই যে সেটি আপনার শরীরে আজীবন ইমিউনিটি বাড়িয়ে তুলতে পারে এটি কিন্তু সম্ভব নয়। সবথেকে বড় কথা হল, এইসময় ভ্যাকসিন সবথেকে বেশি পারে মানুষের শরীরে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে। শুধু তাই নয় যেসকল বাচ্চারা ভ্যাকসিন গ্রহণ না করেই, করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মধ্যে কিন্তু রোগের লক্ষণ এবং উপসর্গ থাকছে অনেকদিন। সুতরাং এই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। 

ধারণা : কোভিড ভ্যাকসিন বাচ্চাদের হৃদরোগের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে? 

সত্য : একেবারেই না! হার্টের সমস্যা একেবারেই হতে পারে না। বাচ্চাদের শরীরে সাধারণ ভাবে, এই জাতীয় সমস্যা খুব একটা হয়না। ভ্যাকসিন গ্রহণ না করলে বাচ্চাদের শরীরে বরং সমস্যা দেখা দিতে পারে। বরং শরীর যদি ভাইরাসের সংস্পর্শে এসে, অতিরিক্ত প্রদাহ ঘটাতে পারে তাই সেটি কিন্তু হার্টের পক্ষে খারাপ হতে পারে। তাই এই ধারণা যথেষ্ট ভুল।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

children Child Vaccination myths COVID-19 Infection
Advertisment