/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/anti-viral-pills.jpg)
প্রতীকী ছবি
Omicron and Antiviral pill: সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। দেশের সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যেও করোনা আতঙ্ক যেন ফের বাড়ছে। বড়দিনের লাগামছাড়া আনন্দই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল সকলের কাছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা অনুযায়ী ধীরে ধীরে গোষ্ঠী সংক্রমণ ও সম্ভব এর থেকে। তার সঙ্গেই রাজ্যজুড়ে গঙ্গাসাগর মেলা থেকেও রয়েছে সংক্রমণের ইঙ্গিত। দেশ জুড়ে কুম্ভ মেলা এবং নতুন বছর উদযাপনেও থাকছে নিশানা।
গবেষণা থেকে কী জানা গেছে?
বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস এবং বিশেষ করে ওমিক্রন এর ছড়িয়ে পড়া রোধ করা আবশ্যিক। নয়তো দেশের হাসপাতাল থেকে শুরু করে কোনও জায়গাই খালি থাকবে না বলেই চিন্তায় চিকিৎসকরা। আগেও জানা গিয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের প্রভাবে ওমিক্রন থেকে রেহাই মিলবে না। আর যেখানে ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া নিয়েই বিভ্রাট লেগেছে সেখানে অন্য কোনও উপায় খুঁজে বার করা খুব দরকার - সেই প্রেক্ষিতেই কোভিড অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতেই পারে। বিশেষ করে গোষ্ঠী সংক্রমণের বিষয় থেকেও এটি বাঁচাতে পারে। যতদূর জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে- ক্রমশ ল্যাবগুলিতে বাড়ছে টেস্টের মাত্রা।
WHO এর মতামত কী?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিড মহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে গেলে শুধুই ভ্যাকসিন নয় এই অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধগুলো বেজায় কাজ করতে পারে। এবং শুধু তাই নয় বাঁচাতে পারে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে। বিশেষ করেই ২০২২ সালের শুরুতেই ছড়াবে এর আতঙ্ক সেই থেকেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখা খুব প্রয়োজনীয়। সুতরাং এটি হতে পারে আপনার বিকল্প ভাল অপশন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তরফ থেকে দুটি পিলের কথাই বলা হয়েছে - প্রথম 'ফাইজার প্যাক্সলোভিড' এবং দ্বিতীয় 'মার্কস মলনুপিরভির'।
এই দুটির প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা কী বলছেন?
তাদের মতামত অনুযায়ী এখন একটি বিষয়ের ওপরেই নজর দেওয়া প্রয়োজন যাতে পুনরায় মানুষের প্রাণহানি না ঘটে। যে হারে বিশ্বজুড়ে প্রাণহানি ঘটেছে তারপর থেকে এটি মানুষের মননে বেশ আতঙ্কের কারণ! সুতরাং এই কথা অস্বীকার করা একেবারেই সম্ভব নয় যে অ্যান্টি ভাইরাল পিল থেকে অনেক প্রাণ বাঁচতে পারে। তার সঙ্গেই এমনও জানা গিয়েছে এই পিল গুলি থার্ড প্রজন্মের মলিকিউল দ্বারা নির্মিত আর করোনা ভাইরাসের টিকাগুলি প্রথম প্রজন্মের ভিত্তিতে। সুতরাং যতক্ষণ না পর্যন্ত তৃতীয় ট্রান্সমিশনের ওপর ধারণা নির্মিত ভ্যাকসিন বাজারে আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত এটিই বিকল্প ভাবনা।
WHO- এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন এই অ্যান্টি ভাইরাল পিল গুলির মধ্যে সামান্য পরিমাণে হলেও DNA প্রভাবকারী মলিকিউল বরাদ্দ করা হয়েছে। তাই এগুলি কম করে ৮৯% হারে মানুষকে এর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই বলে একেবারেই ভাবা উচিত নয় যে ইনফ্লুনজা ভ্যাকসিন থেকে রেহাই মিলতে পারে। এই পিল গুলি থেকে রোগের ভয়াবহতার সঙ্গেই হাসপাতালে যাওয়ার মত বাড়াবাড়ির বিষয়টি কমবে।
কীভাবে খাওয়া উচিত ওষুধগুলো?
জানা গিয়েছে যেদিন থেকে উপসর্গ থাকবে তার থেকে ৫ দিন ৬/৭ ঘণ্টা অন্তর অন্তর এটি খাওয়া যেতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন