একেতেই শীতকাল, তারমধ্যে ভাইরাসের প্রকোপ! বাচ্চাদের কিন্তু এমনিও ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া হয়ে ওঠেনি। ওদের মধ্যে সংক্রমিত হাওয়ার সুযোগ খুব বেশি। বিশেষ করে দেখা যাচ্ছে, করোনা সংক্রমণের পরবর্তী সময়েই ওদের মধ্যে দুর্বলতা, মানসিক অস্বস্তি এগুলির সম্ভাবনা বেশি। তার সঙ্গেই আতঙ্ক ক্রমশই গ্রাস করছে ওদের। এই ভাইরাল ফিভার, কমন ফ্লু এর সময়কালে একেবারেই বোঝা সম্ভব হচ্ছে না কোনটি কী? সুবিধার্থে ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষজ্ঞ ডা নিতিকা কোহলি।
Advertisment
তিনি বলছেন, করোনা মহামারীর কারণে মানুষের জীবন এমনিতেই জর্জরিত। সেইসময় দাঁড়িয়ে, ভাইরাল ফিভার হলেও মানুষ কিন্তু ভয়ে ওখানেই অর্ধেক শেষ! এবং তাদের মধ্যে ভীষণ মাত্রায় প্যানিক কাজ করছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো একেবারেই! কারণ নিজেদের যাই হোক, শিশুদের মধ্যে যদি এমন কিছু দেখা যায়, তাহলে বাবা মা এবং পরিবারের সকলের দুশ্চিন্তা হওয়ার কথা, এমন সময় কীভাবে বুঝবেন আদৌ সেটি করোনা সংক্রমণ কিনা?
নীতিকা জানিয়েছেন, বাবা মায়েদের সত্যিই চিন্তার শেষ নেই। এবং এই কয়েকদিনে অনেক বাবা মায়ের মধ্যেই এই প্রশ্ন দেখা গেছে, যে তারা বুঝে উঠতে পারছেন না, চিন্তায় জর্জরিত। তাই কোন ধরনের লক্ষণগুলি দেখলেই বুঝতে পারবেন সেটি করোনা নাকি অন্য কিছু?
প্রথম, বাচ্চারা সহজেই অলস হয়ে যাবে। এমনকি যারা খুব দুরন্ত, খেলতে চলতে পছন্দ করে তারাও দুর্বলতার চোটে কাজ করতে পারবে না। লেথার্জি কাজ করবে।
দ্বিতীয়, খাবার খাওয়ার ইচ্ছে একদম ওদের মধ্যে কমে যাবে। কোনও কিছুই আপনি ওকে খাওয়াতে পারবেন না। পছন্দের খাবার ও না।
তৃতীয়, ঘন ঘন শ্বাস নিতে থাকবে। সহজেই হাঁপিয়ে যাবে। এমনকি ঘুমানোর সময়ও হতে পারে এই ধরনের সমস্যা।
চতুর্থ, বাড়িতে থাকাকালীন অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৩ এর নিচে নেমে যাবে। এবং সেটি কিন্তু মারাত্মক সংকেত, এই অবস্থায় একটুও দেরি করবেন না।
পঞ্চম, কম করে জ্বর থাকবে তিনদিনের জন্য। মাঝে কিন্তু একটুও কমার সুযোগ নেই, তাই একটু নজর দিন।
ষষ্ঠ, বাচ্চাদের বিষয়ে গাফিলতি একেবারেই নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এমনকি ওষুধ নিজের মত করে দেবেন না।
ওদের খেয়াল রাখুন। স্কুলের মাঝেও যেন সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেটি সম্পর্কে জানান, বাড়িতে অভ্যাস করান।