শরীরে রোগের অন্ত নেই, এমন সময় দাঁড়িয়ে একেবারেই নিজেকে রোগমুক্ত রাখা খুব ভাগ্যের ব্যাপার। আর সবথেকে বেশি অনিয়মের মধ্যে ধূমপান, মদ্যপান আরও কত কি! কথায় বলে অতিরিক্ত ধূমপান আপনার ফুসফুসকে শুকিয়ে কাঠ করে তোলে। এবং বলাই উচিত মহামারীর সময়ে বেশিরভাগ মানুষ শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের রোগ দ্বারাই বেশি আক্রান্ত হন। এবং সেই সাপেক্ষেই একে সতেজ - রোগমুক্ত রাখতে গেলে শরীরের প্রয়োজন ভাল এবং পুষ্টিকর খাবারের।
একথা কারওর অজানা নয়, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ফুসফুসের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ডায়েটেশিয়ান ডেলনাজ চান্দুয়াদিয়া বলেন, সর্বপ্রথম তো একে সুস্থ রাখতে গেলে সিগারেট এবং অন্যান্য নেশার সামগ্রী একেবারেই ছেড়ে দিতে হবে। তার সঙ্গেই বেশ কিছু খাদ্য সামগ্রী সঙ্গে রাখতে হবে যেগুলি একে সবল রাখতে দারুণ কাজ করে। যেমন ;
বিভিন্ন ধরনের বেরি, এতে অ্যান্থ-স্যানিনস প্রচুর পরিমাণে থাকে। ফুসফুস রেডিক্যাল কারণে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়াও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম।
লবণের অতিরিক্ত ব্যবহার হাঁপানির উপসর্গকে একেবারেই কম করতে পারে। প্যাকেট জাত খাবারের পরিবর্তে এই কারণে বাড়িতে তৈরি করা খাবার খাওয়া আবশ্যিক।
সবুজ শাক সবজি ফুসফুসের ক্ষেত্রে ভাল প্রমাণিত হতে পারে। এই সবুজ শাকসবজি ফুসফুসের ক্যান্সার কম করতে সক্ষম। তাই প্রতিদিনের খাবারে এগুলি থাকা আবশ্যিক। পালং, মেথি আপনার জন্য ভাল প্রমাণিত হতে পারে।
লাল জাতীয় সবজি, যেমন পাঁকা লঙ্কা, লাল ক্যাপসিকাম এবং টমেটো লাইকোপেন সমৃদ্ধ। সেই কারণেই এতে প্রাপ্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুসের রোগ সারাতে ভাল কাজ করে। এছাড়াও প্রদাহ কম করতে সক্ষম। যারা ক্রনিক রোগে ভুগছে তাদের পক্ষেও এটি ভাল কাজ করে।
সামান্য পরিমাণ ক্যাফেইন গ্রহণ কিন্তু আপনার ফুসফুসের পক্ষে লাভদায়ক হতে পারে। কারণ এটি প্রদাহ কম করতে সাহায্য করে। এতে ভীষণ মাত্রায় পলিফেনলস থাকার কারণে লাংসকে ভাল রাখে। তবে বেশিমাত্রায় কিছুই ভাল নয়।
অনিয়ম দূরে করুন, এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে, শরীরের অর্গান গুলিকে সতেজ রাখতে ভাল মতই খাওয়াদাওয়া করতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন