শীতকাল মানেই খুক্ষুক কাশি আর সর্দি। ঠান্ডা লাগার ধাত অনেকেরই আছে। কিন্তু এই সময় ঠান্ডা লাগলেও বেজায় মুশকিল! অল্প থেকেই মারাত্মক কিছু হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর অল্প সাধারণ সর্দি কাশি থেকেই কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমশ কমতে থাকে। এমনিতেও ওমিক্রন থেকে এখন উদ্বেগ তুঙ্গে!
শরীর সুস্থ রাখতে গেলে সবথেকে জরুরি বিষয় হল খাওয়াদাওয়া! সঠিক পর্যায়ে সবকিছু না খেলেই কিন্তু এই সমস্যা বাড়তে থাকে। ছোট থেকে অনেকেই শুনে থাকবেন চবনপ্রাশ খেলে নাকি ঠান্ডা লাগার বিষয়টি অনেক হ্রাস পায়। তার সঙ্গেই পর্যাপ্ত নিউট্রিশন পাওয়ার জন্য বেশ কিছু ফল, শাক সবজি এবং খাদ্যসামগ্রী বেজায় কার্যকরী!
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ দের মতে, এই খাবারগুলি আপনাকে ঠান্ডা থেকে যেমন রেহাই দিতে পারে তেমনই, শুরু হোক কিংবা শেষ শরীর গরম রাখতেও বেশ ভাল। সেগুলি কী কী?
কিউই ফল: পাওয়া একটু সমস্যদায়ক হলেও খোঁজ করলেই মেলে এগুলি। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এই ফল ভাইরাল ইনফেকশন কম করতে সক্ষম। এটি রক্ত কোষগুলোতে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করতে পারে। এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। ভিটামিন সি যুক্ত এই ফল অবশ্যই আপনার উইন্টার বাকেট লিস্টে থাকা দরকার।
ফ্লুইড জাতীয় খাবার: ফ্লুইড জাতীয় সবকিছুই ঠান্ডা লাগার ধাত থেকে বাঁচাতে পারে। যেমন নারকেলের জল, ফলের রস, হার্বাল চা। এগুলি শরীরের ময়েশ্চার বজায় রাখতে পারে। গলা ব্যাথা দুর করতে, নাক বন্ধ জাতীয় সমস্যা দূর করতে এগুলি কাজ করে।
আদা: আদা বিশ্ব ভেষজ নামে অভিহিত এবং এটি নানাভাবে শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। আদা কাঁচা অবস্থায় লেবু দিয়ে হোক কিংবা একটু শুকিয়ে গোলমরিচ দিয়ে রোজ এক কুচি করে সেবন করলেই কিন্তু কেল্লাফতে!
ইয়োগার্ট: এটি ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়তে বেজায় ভাল। ইমিউনিটি বাড়াতে তৎপরতা অবলম্বন করে। প্রোটিন এবং ভিটামিনের এক দারুন উপায় ইয়োগার্ট। ইনফেকশন সহজেই কমতে পারে।
মধু: মধু খুবই ভাল যেকোনও রোগের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে সর্দি কাশির ক্ষেত্রে এটি দারুন কাজ করে। মিউকাস সিক্রেশন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। নাক বন্ধ এবং গলা খুসখুস থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
শীতের দাপটে সুস্থ থাকুন, এবং সঠিক পরিমাণে খাওয়াদাওয়া করুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন