মানবদেহ মানেই তাতে হাজার একটা সমস্যা। সাধারণ কিছু রোগের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ কিংবা উচ্চ ব্লাড সুগার, এছাড়াও জটিল সমস্যার মধ্যে হার্ট কিডনি, ক্যানসার জাতীয় নানান রোগ মানুষকে কষ্ট দিতে পারে। তবে রোগের মধ্যে শুধু যে এগুলোই পরে সেটি কিন্তু একেবারেই নয় বরং কিছু বিশেষ ডিসঅর্ডার মানুষের মধ্যে থাকতেই পারে।
Advertisment
সমস্যার কথা বলতেই, যেটুকু জানা যায় এই ক্ষেত্রে দুটি বিভেদ রয়েছে। প্রথম যেটি মানুষ সঙ্গে নিয়েই জন্মায় এবং দ্বিতীয় যেটি সময়ের সঙ্গে প্রাকৃতিক এবং সামাজিক চাপে মানুষের মনে এবং শরীরে বাসা বাঁধে। এগুলি প্রথম দিকে অবাস্তব মনে হলেও চিকিৎসার ভাষায় একে আনইউসুয়াল ডিসঅর্ডার বলা হয়। যেগুলি চিকিৎসকরা সবথেকে বেশি চিহ্নিত করেন তার মধ্যে ;
আর্জিরিয়া অথবা Argyria :- এটি শরীরে সিলভার কিংবা মেটালের প্রভাব বেশি থাকলে হয়। অনেকেই জানেন না যে ডায়েট কিংবা প্রতিদিনের খাবার থেকে সিলভার আমাদের শরীরে ঢুকেই থাকে, এবং এই মাত্রা শরীরে বেড়ে গেলে গায়ের চামড়া কিংবা চুলে নীল রঙের আভা দেখতে পাওয়া যায়। অনেকের ক্ষেত্রে সেই রং ধূসর হয়। এটি পরে স্কিনের সমস্যা ঘটাতে পারে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পরফিরিয়া অথবা Porphyria:- এটি জন্মগত এটি রোগ, বলা উচিত রক্ত জনিত সমস্যা। যেই কারণে সূর্যের আলো কিংবা অতিরিক্ত লাইট সহ্য হয়না। সহজেই চামড়ার রং বদলে লাল হয়ে যেতে পারে। আসলে এই রোগ রক্তের হিমোগ্লোবিন এবং অক্সিজেন মাত্রার সঙ্গেও সম্পর্কিত।
কঙ্গেন্টিয়াল অনালগেসিয়া অথবা congential analgesia :- এটি শরীরে থাকলে যেকোনও মানুষের ব্যথা কম অনুভূত হয়। এবং সেই কারণেই হাতে পায়ে চোট পেলেও ব্যথা লাগে না, এটি একধরনের নার্ভের রোগ হিসেবেই চিহ্নিত হয়। তবে চিকিৎসার প্রয়োজন।
ক্লেইন লেভিন সিনড্রোম অথবা kleine Levin syndrome :- যারা প্রচন্ড ঘুমাতে ভালবাসেন কিংবা, ঘুম ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করে না তাদের এই সমস্যা থাকতেই পারে। এটি থাকলে মানুষ ২০ ঘণ্টা টানা ঘুমাতেও পারে অনেক সময় ভুলে যাওয়ার সুযোগ থাকে।
প্রগেরিয়া অথবা progeria :- বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এর কারণে ওদের শারীরিক ফ্যাট কমতে থাকে। মাথার চুল পড়ে যায়, অল্প বয়সেই মুখে চোখের কোণায় রিংকেলস দেখা দিতে পারে।
এগুলি এককথায় গুপ্ত রোগ, চেষ্টা করবেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা করানোর।