বাড়িতে বাচ্চা থাকলেই তাদের নিয়ে নানান রকম ঝুটঝামেলা। বিশেষ করে খাবার দাবার নিয়ে বেজায় মুশকিল। এটা খেতে চায়না তো ওটায় অস্থিরতা। কিন্তু এমন করলে ওদের স্বাস্থ্য যেমন ভেঙে যাবে তেমনই ব্রেনের বিকাশ ঘটবে না। তাই ওদের জন্য বেশ কিছু সেক কিংবা সরবত রেসিপি যেগুলো ওরা খাবেও ভাল আর আপনার বানানোও সোজা।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা লভনীত বাত্রার এই রেসিপি গুলি অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন। তিনটি বয়স বিভাগে তিনি তিন রকমের খাবারের কথা বলেন। একথা সত্যি সব বয়সে সবকিছু হজম করা যায় না। তাহলে দেখে নি!
• আমন্ড মিল্ক : এটি একদম ছোট্ট দের জন্য! অর্থাৎ ২ থেকে ৩ বছরের শিশু দের জন্য।
কীভাবে বানাবেন : সারারাত আলমন্ড জলে ভিজিয়ে রাখুন, অবশ্যই ঢাকা দিয়ে রাখবেন। পরে ভালও করে জল ফেলে দিয়ে সেটিকে খেজুর এবং জল দিয়ে ভাল করে গ্রাইন্ড করে নিন। একদম মিহি হলেই ভাল করে চিপে মিল্ক বের করে নিন। একটু আলমন্ড কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
• পালং জুস : ভিটামিন সি, এবং এ সমৃদ্ধ তার সঙ্গেই ফাইবারে পূর্ণ। এটি ৩ থেকে ৫ বছরের শিশু দের জন্য।
কীভাবে বানাবেন : এক কাপ পালং শাক, একটি কলা, একটি আপেল এবং এক চামচ চিয়া বীজ নিয়ে নিন। সব একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন, অবশ্যই এক কাপ জল দেবেন। ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
•ম্যাংগো কোকোনাট জুস : ৬ থেকে ৯ বছরের শিশুদের জন্য! ভিটামিন এ এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
কীভাবে বানাবেন : এক কাপ নারকেল জল, এক কাপ আমের টুকরো, এক চামচ চিয়া বীজ নিয়ে নিন। সবকিছু একত্রে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসে ঢেলে নেওয়ার পর সেটিকে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ঢাকা দিন। ফ্রিজে রাখুন, ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
• বাদাম এনার্জি সেক : প্রোটিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন সমৃদ্ধ। ৯ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য।
কীভাবে বানাবেন : কাজু, বাদাম, আখরোট, এবং আলমন্ড, কিসমিস নিয়ে নিন ১০ গ্রাম করে। ৫ গ্রাম ডুমুর এবং ২ টি খেজুর। সবকিছুই আগে থেকে জলে ডিজিয়ে রাখবেন। ডুমুর ছুলে রাখবেন। ব্লেন্ডারে একসঙ্গে মিক্স করে নিন। প্রয়োজনমত জল দিন। স্মুথ পেস্ট তৈরি করুন এবং গ্লাসে ঢেলে নিন। বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন।
ট্রাই করে দেখুন না, ওরা মজা করে খাবে!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন