রান্নাঘরের মশলা ভীষণভাবে মানুষের দেহের পক্ষে উপকারী। অনেক সময় দেখা যায় কঠিন রোগ সারাতে আয়ুর্বেদের এই পন্থা অবলম্বন করা হয়। বহুদিন ধরে কোনও সমস্যার রেহাই কিন্তু ছোটখাটো মশলা থেকে সহজেই মেলে। তবে এই মশলা আবার আপনার শরীরের পক্ষেও বেজায় গোলমাল সৃষ্টি করতে পারে - যেগুলি বিশ্বাসযোগ্য একেবারেই নয়।
Advertisment
দীর্ঘদিন ধরে কোনও মশলা কিংবা আয়ুর্বেদিক ওষধি সেবন করছেন অথচ চিকিৎসকের পরামর্শ নেন নি, এমন ক্ষেত্রে কিন্তু বিপদ বাড়তে পারে। চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদ ভারালক্ষী ইয়ামারেন্দ্রা বলছেন, বেশ কিছু মশলা কিংবা গাছ পাতা দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন করলে অবধারিত বিপদে পড়বেন। শরীরের দশা পরিবর্তিত হতেই পারে। কোনটি কতদিন ধরে সেবন করা উচিত সেই বিষয়ে অবশ্যই জানা দরকার।
কারণ? সেগুলি যথেষ্ট শক্তিশালী উপাদেয়, শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। কোন হার্ব কোন শরীরে বেশি দরকারি সেটি চিকিৎসক জানেন, সুতরাং দীর্ঘদিন সেবন করলে সত্যিই শরীরের দিকে মুশকিল। আয়ুর্বেদ কখনোই নিজের মর্জি মত বা লোকমুখে শুনে কিছু গ্রহণ করার কথা বলে না। কারণ সামান্য ভুল থেকে কিন্তু অনেক বড় মাসুল দিতে হবে।
কোন ধরনের আয়ুর্বেদের কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নিন :-
অশ্বগন্ধা :- এটি অনেকদিন অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কিংবা লো প্রেসার হতে পারে।
হলুদ :- এটির অত্যধিক ব্যবহার, অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। কিডনি স্টোন এমনকি অক্সালেট মাত্রা বৃদ্ধি করে।
বেশিল:- ব্লাড সুগার এবং গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এছাড়াও, প্রজননে বাধা দেয়। নিষেক ঠিকভাবে হয় না।
ত্রিফলা :- এটি স্কিনের চামড়া একেবারেই শুকিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য এবং চুলের স্ক্যাল্পের সমস্যা ছাড়াও নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।
যে বিষয় মাথায় রাখতে হবে :-
যখনই দেখবেন অতিরিক্ত চুল পড়ছে কিংবা হজমের সমস্যা হচ্ছে কিংবা মেজাজ আয়ত্বে থাকছে না জানতে হবে এটি সেই প্রতিক্রিয়া। নারীদেহে অবশ্যই ঋতুস্রাবের সমস্যা দেখা যায়।
কোনোদিন একই আয়ুর্বেদিক ওষধি অথবা ফল ৪০ দিনের বেশি টানা খাবেন না। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
যদি কোনও পরিবর্তন দেখা না যায় তবে, ১০ দিনের মাথায় বন্ধ করে দিন। এবং অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।