শিশুদের ছোট থেকে বড় করতে অভিভাবকরা কত কিছুই না করেন। তাদের পেশী মজবুত করতে শারীরিক ভাবে সুস্থ রাখতে নানা ওষুধ থেকে ফর্মুলা এমনকি খাবার দাবার কোনও কিছুতেই খামতি রাখেন না বাবা মায়েরা। কিন্তু তার সঙ্গেই মনে রাখতে হবে ওদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন। বেড়ে ওঠার পথে পড়াশোনা কিংবা এক্সট্রা অ্যাক্টিভিটি - ব্রেন প্রখর থাকলে কিন্তু অনেকটা সুবিধা।
বিগত দুই বছরে করোনা মহামারীতে বাড়ি বসে থেকে থেকে বাচ্চারা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। তাদের মানসিক ভাবেও অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে, বেড়েছে রাগ কমেছে একাগ্রতা। ওদের জেদের সম্পর্কেও বারবার জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ব্রেন ডেভেলপমেন্ট কিংবা মস্তিষ্কের বিকাশ তার কিন্তু নির্দিষ্ট একটি সময় আছে, সেই বয়েসের বাইরে গিয়ে এটি স্থগিত হয়ে যায়। শুরু হয় ১০-১২ বছর বয়েসে এবং শেষ হয় ১৭/১৮ বছর বয়সে। এর মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষ নিজেকে প্রসারিত করতে পারে, মনের গঠন যেমন সতস্ফুর্ত ভাব এবং শান্ত ভাব গড়ে ওঠে।
দেখা যায় কারওর মনে রাখার ক্ষমতা বেশি আবার কারওর কম, কেউ আবার বেশি ধৈর্য সম্পন্ন - শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে অনেকেই অনেক কিছু করে থাকেন তবে আসল বিষয়েই নজর দেন না। খাবারে অল্প কিছু যোগ করলেই কিন্তু অনেকটা লাভ পাওয়া যাবে সেগুলি কী কী?
পিনাট বাটার :- এটি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা আসলেই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। স্নায়ু তন্ত্রকে সক্রিয় করে এবং মস্তিষ্কের কোষগুলিকে সজাগ করতে পারে।
ডিম :- ডিমের থেকে বেশি এর কুসুম কার্যকরী। এটি কোলিন সমৃদ্ধ যা ব্রেনের বিকাশে সাহায্য করে। ডিমের কুসুম ফেলে দেবেন না।
কমলা রঙের সবজি এবং ফল :- গাজর হোক কিংবা কমলালেবু অথবা পিচ ফল এই জাতীয় খাবারগুলি আপনার শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে ভাল কাজ করতে পারে।
ওটমিল :- এটি খাবার হিসেবে যেমন ভাল তেমনই ডায়েটে ভাল কাজ করে। ওটমিল দারুণ ভিটামিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ - তাই এটি মস্তিষ্কের বিকাশ ভাল কাজ করতে পারে।