সারাদিন এক নাগাড়ে কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখের মাথা যেমন শেষ তেমনই সবথেকে যেই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া দরকার যে খাটা খাটনির পরেও সহজে ঘুম আসছে না মানুষের। এমন সময় ঠিক কী করা যায়? পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ লোভনীত বাত্রা বলছেন, করোনা মহামারীর পরে সবথেকে বেশি মানুষ এই সমস্যা তেই ভুগছেন!
Advertisment
তার বক্তব্য, কম করে ৭/৮ ঘন্টার ঘুম কিন্তু খুব দরকার। এবং সেই পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের প্রয়োজন না মেটালে বেশ সমস্যা। মানবদেহে বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, এই একটি কারণেই ব্লাড সুগার থেকে হার্টের সমস্যা চাগাড় দিয়ে উঠছে। দেখা যায় বায়ো কেমিক্যালি এবং জেনেটিক মলিকিউলার হিসেবে সঠিক পরিমাণ ঘুম খুব দরকার। তবে করোনা আক্রান্ত হলেই মানুষের শরীরে ঘুমের পরিমাণ কমে যাওয়া খুব সাধারণ সমস্যায় দাঁড়িয়েছে। এবং একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এটির সঙ্গে সবথেকে বেশি সম্পর্কিত হল মানসিক শান্তি এবং স্বাস্থ্যের ভাবনা। তথা বেশিরভাগ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য একটু হলেও মুশকিলে, চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকেই!
গ্লোবাল পপুলেশনের কাছে এই সমস্যা সাংঘাতিক রূপ নিয়েছে এবং প্রতিদিনের জীবনে ফিরতে গেলে, কিন্তু শরীরকে সুস্থ তথা চাঙ্গা রাখা খুব দরকার। সেই কারণেই তিনটি আয়ুর্বেদীয় উপাদান এর কথা তিনি উল্লেখ করেছেন, সেগুলি কী কী?
অশ্বগন্ধা:- এই উপাদেয় টির মধ্যে উইথানোলাইডস নামক একটি উপাদান থাকে যেটি স্ট্রেস কম করতে, মানসিক শান্তি বজায় রাখতে এবং উন্নত মানের ঘুম প্রদান করতে সহায়তা করে। এছাড়াও ট্রিথেলাইন গ্লাইকোল থাকে এর মধ্যে যেটি সহজেই ঘুমের সমস্যা কম করতে পারে।
আলমন্ড:- আলমন্ড ঘুমের অন্যতম ওষুধ হিসেবে দারুণ পরিচিত! কীভাবে? কারণ এটির মধ্যে মেলাটোনিন থাকে, এবং মিনারেলস জাতীয় সবকিছুই তথা ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক থাকে সুতরাং এটি বেশ সহজেই শরীরকে শান্ত করতে পারে। এই সবকিছুর সংমিশ্রণ আমাদের ঘুমাতে সাহায্য করে।
Chamomile Tea :- এই বিশেষ ধরনের চা কিন্তু শারীরিক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম। এক ধরনের হারবাল চা, তবে এটি মানুষের মস্তিষ্কে নেশামাফিক ঘুম এনে দিতে পারে। বেশি সেবনে মানুষ রাত হলেই ঢুলতে পারেন। ফ্লাবনয়েড এপিজেনিন থাকে বলেই, এরকম হতে পারে বলেই জানিয়েছেন লোভনীত। এটি মস্তিষ্কে ঠান্ডা ভাব দিতে পারে এবং বলা উচিত, তাকে শান্তিতে ঘুমানোর ইঙ্গিত দেয়।