এখনকার দিনে দাঁড়িয়ে শরীর এবং মন দুই সুস্থ রাখা খুব কষ্টকর। তার প্রথম এবং প্রধান কারণ একেতেই আর্থিক অনটন, তার মধ্যেই মহামারী এবং জীবনের অভ্যন্তরীণ নানান সমস্যা। তার সঙ্গেও অনেকেই অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় জেরবার। রোগের কথা না বললেই নয়। বয়স দেখে এখন রোগ আসে না, শিশু থেকে অল্প বয়সী এবং মধ্য থেকে বয়স্ক উচ্চ রক্তচাপ এবং ব্লাড সুগার খুব সাধারণ বিষয়। তবে এখন মানুষ কিন্তু মানসিক ভাবেও বেশ অসুস্থ থাকেন। কারওর ক্ষেত্রে সেটি প্রকাশ পায়, কারওর আবার চাপা থাকে।
অনেকেই ক্ষেত্রেই মন ভাল থাকার ওপর শরীর ভালও থাকা নির্ভর করে। এবং মন কিন্তু মস্তিষ্কের সঙ্গে ভীষণভাবে সম্পর্কিত। তাই মন থেকেই ভাল থাকা দরকার। বিশেষজ্ঞ রুজুতা দিবাকর বলছেন, শরীরে অনেক রকম রোগ থাকতেও পারে এবং তার প্রসঙ্গেই নানা ভাবে চিকিৎসার প্রয়োজন। জীবন শুধুই ওজনের দাড়িপাল্লা জুড়ে সীমাবদ্ধ নয় বরং কোন বিষয়টি আপনার সঙ্গে বেশি সম্পর্কিত সেটি দেখে রাখা আবশ্যিক।
তিনি বলেন, নিজের ভাল থাকার জন্য মায়ের শরীর ভাল থাকা খুব দরকারি। মায়ের শরীর খারাপ থাকলে কিন্তু আপনার নিজের মন একেবারেই ভালও থাকবে না। এটি আপনার মানসিক অবস্থা কে আরও খারাপ করে। তাই মাকে সুস্থ রাখার সংকল্প নিন, তাকে ভালও রাখুন, চিকিৎসকের সঙ্গে মাঝে মধ্যে কথা বলুন। চেক আপে রাখার ব্যবস্থা করুন।
পড়াশোনা জীবনে উন্নতি এবং শান্তি অনেকেই চায়। ভালও শিক্ষক, মনের পছন্দের বিষয়, ভালও বিদ্যালয় এবং কলেজ এগুলি অনেকেই আশা করেন। নিজের উদ্যোগ বাড়িয়ে তুলুন, এগিয়ে যান, প্রতিষ্ঠিত করুন।
পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক বেজায় ভালও হওয়া দরকার। বাড়িতে অশান্তি থাকলে আপনার মন এবং শরীর দুটিই খারাপ থাকবে। নিজের সঙ্গে পেরে উঠবেন না। তাই অবশ্যই পরিবারের সকলের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক রাখুন, তাদের সঙ্গে কথা বলুন।
সবসময়, চিকিৎসকদের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকুন। কোনওরকম শারীরিক কিংবা মানসিক অসুবিধে হলেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, পরামর্শ নিন। এমনিতেও কীভাবে সুস্থ থাকবেন সেই নিয়েও আলোচনা করতে পারেন।
আরও পড়ুন < সুন্দর ভাবে বাঁচতে চাইলে আজই বদলান এই বদভ্যাসগুলি >
একটি ভাল চাকরি পাওয়া প্রত্যেকের জীবনে শিরোধার্য। চাকরি পাওয়াই বেশিরভাগ মানুষের লক্ষ্য। তার সঙ্গেই অর্থের বিষয়টি জড়িত। ভালও মাইনের চাকরি পেলে অনেকেই কিন্তু মনের দিক থেকে উৎফুল্ল থাকেন।
ছোটবেলার দিনগুলি খেলাধুলার মধ্যে কাটাই ভালও। নিজেদেরকে সবসময় ব্যস্ত রাখা জরুরি। মাঠে ঘাটে খেলে বেড়ানো অবশ্যই দরকার। তাই ছোটদের সবসময় উৎসাহ দিন।
চারিদিকের সবুজ এবং ফাঁকা পরিবেশে থাকতে অনেকেই পছন্দ করেন এবং এটিই জরুরি। দিনের শেষে সবুজ ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটা খুব ভালও প্রমাণিত হতে পারে তাই বসবাসের জায়গাও কিন্তু আপনার জীবনে এবং মনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন