সারাদিন বাড়ি বসে হোক, অথবা অফিসে গিয়ে মানুষ কিন্তু দিনশেষে বেশ ক্লান্ত থাকেন। এবং তারপরেই কিন্তু কোনও কাজ করতে ইচ্ছে করে না। ফলেই শরীরের অবস্থা বেহাল! কাজ করতে ইচ্ছে করে না। এদিকে দুর্বলতা ক্রমশই গ্রাস করছে মানুষকে। তাহলে কী করবেন?
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ মার্ক হেইমন বলছেন, বেশ কিছু কাজ কিন্তু আপনি আপনার জীবনে করতেই পারেন। এবং সেগুলিতে যেমন সময় নষ্ট কম হবে তেমনই কিন্তু আপনার পক্ষে সেগুলি লাভদায়ক হতেই পারে। অন্তত এই করোনা ভাইরাসের যুগে নিজেকে ফিট এবং স্বাস্থ্য সম্মত রাখা খুব দরকারি। সুতরাং সেই বিষয়েই নজর দিয়েই বেশ কিছু কাজ শুরু করা প্রয়োজন। সেগুলি কী কী?
প্রথমেই, তিনি বলেন খাবারের দিকে নজর দেওয়ার কথা। অর্থাৎ নন স্ট্রেচি সবজি থাকা খুব জরুরি। কম করে ৭৫% সেই সবজি থাকতেই হবে। সঙ্গেই থাকতে হবে নন গ্লাইসেমিক সূচক ফল। খাবারের প্লেটে থাকতে হবে কার্ব জাতীয় সবকিছুই। অত্যধিক ক্যালোরি থাকা চলবে না।
দ্বিতীয়, মিনিট সাতেকের ব্যায়াম। সেটি ঠিক কেমন হতে পারে? এটিকে চিকিৎসার ভাষায় হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বলে। ৪৫ থেকে ৬০ সেকেন্ড মত কিছু কাজ করুন। তারপরের মুহূর্তেই ৩ মিনিটের জন্য জগিং অথবা দৌড়ানো অভ্যাস করুন। ঠিক পরমুহূর্তেই আবার একইরকম কাজ করুন। এইভাবে মিনিট সাতেক ধরে নিজেকে হালকা এবং ভারী কাজের সঙ্গে আটকে রাখুন।
তৃতীয়, ঘুমানোর সময় বেশ কিছু বিষয় যেমন, ঘরের মধ্যে টিভি না থাকা। খুব জোরালো আলো একেবারেই এই সময় জ্বালিয়ে রাখবেন না। ফোন, ট্যাব জাতীয় সবকিছুই সরিয়ে রাখুন। মাথা শান্ত রাখুন। প্রয়োজনে একবার গরম জলে স্নান করতে পারেন।
চতুর্থ, দুই মিনিটের জন্য মেডিটেশন করুন। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসেই এবং সন্ধ্যেতে। এতে হাই কর্টিসলের মাত্রা কমে। স্ট্রেস কমে, হার্ট ভাল থাকতে শুরু করে। স্থূলতা, চিন্তা ভাবনা থেকে ছুটি চান তো এটি অবশ্যই করুন।
শেষ, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সকলের থেকে কিছু না কিছু জানা যায়। ঠিক তেমনই এই ক্ষেত্রেও। নিজের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওপরেও ফোকাস রাখুন। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করুন। নতুন করে ভাবতে শিখুন, এগুলি খুব প্রয়োজনীয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন