দীপাবলি অথবা কালীপুজো, আতশবাজি ফাটবেই। এমনিও অনুমতি মিলেছে পরিবেশ-বান্ধব বাজি পোড়ানোর। শব্দবাজি একরকম, তবে আতশবাজির ধোঁয়া কিন্তু শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ফলেই ফুসফুসের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অ্যাজমা, ক্রনিক শ্বাস নেওয়ার সমস্যা থাকলে কিন্তু এগুলি খুব স্বাভাবিক বিষয়। তাই নিজেকে অবশ্যই এর থেকে বাঁচাতে হবে, অবলম্বন করতে হবে।
চিকিৎসক ফারহা ইঙ্গলে বলেন, নিজেকে এই ধোঁয়া থেকে সুস্থ রাখা খুবই দরকার। নয়তো সমস্যা বাড়বে বইকি কমবে না। বিশেষ করে যারা হাঁপানি জাতীয় সমস্যায় ভোগেন তারা। নতুন গবেষণা বলছে, বাজির টক্সিক ফিউম কোভিড আক্রান্ত রোগীদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। বায়ুদূষণ এবং শারীরিক সমস্যা যেমন কাশি, হাঁচি, বুকে স্টিফনেস এগুলি বাড়তেই থাকে। তাহলে ফুসফুস কীভাবে বাঁচাবেন?
- বাড়ির ভেতরে মোমবাতি, প্রদীপ, এগুলি জ্বালাবেন না। বরং টুনি লাইট জ্বালান। এতে ঘরের ভেতর কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে গিয়ে সমস্যা ঘটাতে পারে।
- যেখানেই দেখবেন বাজি ফাটানো হচ্ছে সেই জায়গা থেকে দূরে থাকুন। ক্ষতিকারক রাসায়নিক বেরিয়ে শরীরের সমস্যা ঘটাতে পারে।
- অ্যান্টি পলিউশন ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন। বাইরে বেরোলে নাক মুখ ঢাকা দিয়ে বেরোবেন। যাতে ধোঁয়া কোনওভাবে শরীরের ভেতরে না যায়।
- চারিদিকে বদ্ধ অনুভব করছেন। তবে বাড়ির ভেতরে থাকুন। পাখা কিংবা এয়ার কন্ডিশন চালিয়ে রাখুন। তাহলে ভাল থাকবেন।
- নিজের শরীরের ভাব অনুযায়ী বাড়িতে ইনহেলার অথবা নেবুলাইজার রাখতে পারেন। কিংবা যা করে আপনার শরীর ঠিক থাকে সেটাই করুন। নিজের ওষুধ সময় মত নিন।
- এইদিন পুষ্টিযুক্ত এবং ভাল পরিমাণে ফল খান, নিজের শরীরে হাইড্রেশন বজায় রাখুন। প্রচুর পরিমাণে জল খান, কাজে দেবে।
- এইসময় অনেকের অ্যালার্জি হতে পারে সেই কারণে বাজির বারুদ থেকে দূরে থাকবেন। ভাল করে হাত পা না ধুয়ে মুখে হাত দেবেন না।
- কাশি, সর্দি এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হলে অবধারিত ডাক্তার দেখান এবং নিজেকে কিছু দিনের জন্য অন্যদের থেকে দূরে রাখুন।
উৎসব সুখের হোক, আনন্দের হোক, সুস্থ হোক!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন