শেক্সপিয়র বলেছিলেন নামে কী বা আসে যায়! কিন্তু আসে যায় বৈকি! এই যেমন ইওরোপের একটি গ্রাম। অস্ট্রিয়ায় অবস্থিত। গ্রামের নাম করোনা। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। যে ভাইরাসের আতঙ্কে সারা পৃথিবী কার্যত থমকে গেছে, সেই ভাইরাসের নামেই এই গ্রামের নাম। সাখত করোনা। এতদিন দিব্যি ছিল এই গ্রাম। কিন্তু এবার হয়েছে সমস্যা। নিজেদের গ্রামের নাম বদলে ফেলতে চাইছে গ্রামের মানুষই।
ভিয়েনা থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত অস্ট্রিয়ার এই গ্রামের উপার্জনের মূল পথই হল পর্যটন। দেশ-বিদেশ থেকে সারা বছরই পর্যটকেরা এই গ্রামে এসে হাজির হন। গ্রামে মাত্র ৪০০ পরিবারের বাস। গ্রামের পর্যটন শিল্পের ম্যাসকট একটি পিঁপড়ে। তার নামও করোনা।
আরও পড়ুন, দুনিয়ার সবচেয়ে নিঃসঙ্গ শহর এটাই, জানতেন?
প্রথম প্রথম যখন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল, সে সময় নামের সাদৃশ্য নিয়ে হাসি মশকরাই করতেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু পরে এর ভয়াবহতা বুঝতে পারেন। এখন বিশ্বব্যাপী যেভাবে তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে করোনাভাইরাস, তাতে পর্যটন শিল্প নিয়েও উদ্বিগ্ন মেয়র মাইকেল গ্রুবের।
গ্রুবের স্পম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “পর্যটকদের স্বাগত জানানোর জন্য আমাদের এবার হয়তো ম্যাসকটের নাম বদলে ফেলতে হবে।” কেন? করোনাভাইরাসের অভিশাপের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত তার। অস্ট্রিয়ায় এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের।
করোনা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীকেও নামাতে হয়েছে সে দেশে। খাদ্যের যোগান, ওষুধপত্রের ব্যবস্থা সমস্ত সামলাচ্ছে সেনারা।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে করোনা নামটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। মানুষ একে মনে রাখবে এক মহামারির সমার্থক হিসেবে। তাই নামের সঙ্গে হাজার ঐতিহ্য মিশে থাকলেও এই নামের সঙ্গে নিজেদের আর জড়াতে চায়না গ্রামের মানুষ। চায় নতুন করে শুরু করতে, মানুষের অবশ্য এটাই ধর্ম।