শরীর মানেই হাজার রকম উপায়ে তার খারাপ হওয়ার লক্ষণ। এদিক ওদিক একটু আধটু অনিয়ম আর তার প্রভাব গিয়ে পড়ে বেচারা শরীরে। হার্ট থেকে কিডনি যেকোনও সমস্যাই কিন্তু নতুন করে চাগাড় দিতে পারে। স্ট্রোক কিন্তু যেকোনও বয়সেই হতে পারে। তবে বেশ কিছু অভ্যাসের বশেও কিন্তু আপনার এই সমস্যা হতে পারে।
বিশেষ করেই অল্প বয়সে বেশ কিছু বিষয় যেমন, নেশায় আসক্তি, অতিরিক্ত মনের ওপর চাপ, অতিরিক্ত সম্পর্কের বোঝা এমনকি নানান বিপত্তির কারণে মানসিক চাপের কারণেও স্ট্রোক কিন্তু খুব বিস্ময়কর ভাবে কঠিন একটি বিষয়। অনেকসময় রাত বিরেতে অতিরিক্ত তেল মশলা এবং অস্বস্তিকর খাবার খেলেও কিন্তু স্ট্রোক হঠাৎই বিপত্তি ঘটাতে পারে।
মূলত যে কারণগুলি আপনার জীবনের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে তার মধ্যে,
ধূমপান : যেকোনও বয়সের মানুষের জন্যই এটি ভীষণ অস্বাস্থ্যকর এবং জটিল রোগের লক্ষণ। শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাঘাত ঘটিয়ে এটি ভীষণ শরীরে কষ্ট দিতে পারে।
মদ্যপান : বিশেষত যারা নতুন নতুন এই পথে চালিত হন তাদের কিন্তু বেজায় সমস্যা। দয়া করে নিজের ভাল মন্দ না বুঝে মদ্যপান করবেন না। নিজের বিস্তৃতি আগে বুঝতে শিখুন তারপরেই না হয় ভেবে দেখবেন। অনেকেই উচ্ছ্বাসের চোটে কি করবেন বুঝে পান না তাই এর থেকে বিরত থাকুন।
অলসতা : শরীর চালনা করা যেকোনও মানুষের পক্ষে ভাল। এক জায়গায় বসে থাকলে রোগ আরও আপনাকে ঘিরে ধরবে এবং তাতে সমস্যা ক্রমশই বাড়বে। ওজন অত্যধিক বেড়ে গেলে কিন্তু খুব খারাপ। তাই অন্তত সারাদিনে ২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন।
সঠিক মাত্রায় জল পান না করা : সারাদিনে সঠিক মাত্রায় জল পান না করলে দেহে টক্সিন বাড়তে থাকে। ব্যাস! সেই থেকেই হয় সমস্যা। অম্বল ক্রমশই মানুষকে কষ্ট দিতে থাকে। তারই পরবর্তী লক্ষণ স্ট্রোকের দিকে ঠেলে দেওয়া।
কিছু স্বাভাবিক রোগের মধ্যে ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল যদি থাকে তবে অবধারিত চিকিত্সা করুন নয়তো অবধারিত হার্টের সমস্যা আপনাকে ভীষণ কষ্ট দেবে।
মানসিক দিকে একটু শান্তি রাখার চেষ্টা করুন তবেই হৃদযন্ত্র শান্ত থাকবে। আজে বাজে চিন্তা ভাবনা থেকে বিরত থাকুন। যোগা করুন, প্রাণায়াম বজায় রাখুন শরীর ভাল থাকবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন