New Update
সারাদিনে আপনি কত কিছুই না করেন, তার মধ্যে কোনটি ভুল আর কোনটি ঠিক সেই বিষয়ে কিছু সময় আপনার জ্ঞান থাকে আবার কিছু সময় আপনি না জেনেই এদিক ওদিক থেকে কথা শুনে সেটিকে কাজে লাগাতে থাকেন। তবে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন দরকার যেগুলি না হলে একটা সময়ের পর আপনিই পচতাবেন।
Advertisment
বিশেষজ্ঞ টিম গ্রে বলছেন, কিছু ছোট ছোট পরিবর্তন আপনার বাঁচার মেয়াদ এবং ভাবনায় অনেক কিছু করতে পারে। শুধু এগুলিকে প্রতিদিনের রুটিনে কার্যকর করে তুলতে হবে। ৩০ দিন করেই দেখুন, তাহলেই বুঝবেন পরিবর্তন। শরীরের বিভিন্ন খাতে এই সবকটিই খুব গুরুত্বপূর্ণ, আপনিও পারবেন জীবনযাত্রায় উন্নতি করতে।
বেশ কিছু বিষয় যেগুলি একেবারেই বন্ধ করা দরকার তার মধ্যে ;
- সারাদিন এক জায়গায় বসে থাকা, শরীর চলাচল না করা। ব্যায়াম না করা, এটি খুব খারাপ। তাই শরীর সচল করতে হবে।
- মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া বন্ধ করুন। এটি হার্টের পক্ষে খারাপ। দরকারে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।
- সূর্যোদয় না দেখা শরীরের পক্ষে খারাপ। দিনের প্রথম আলো শরীরের সঙ্গেই মানসিক শান্তি নিয়ে আসে। তাই এটি মিস করা একেবারেই চলবে না।
- সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই জল খাওয়ার আগে কফি নৈব নৈব চ। পেটের আন্ত্রিক গোলযোগ এমনিই শুরু হবে তবে।
- ঠান্ডা জলে স্নান করা স্বাস্থের পক্ষে ভাল। আর গরম জল শরীর কষিয়ে দিতে পারে। তাই ঠান্ডা জলে স্নান করা চলবে না।
- প্রকৃতির বুকে হাঁটা বন্ধ করলে চলবে না। অবশ্যই হাটতে হবে। তাতে শরীরের সঙ্গে মন ভাল থাকবে।
- ভেজিটেবল অয়েল খাওয়া বন্ধ করুন। সবথেকে ভাল সর্ষের তেলের রান্না করা খাবার খাওয়া। এটি স্বাস্থ্যকর নয়।
- অন্যলোকে আপনার সম্বন্ধে ঠিক কী ভাবছে সেই নিয়ে ভাবনা চিন্তা বন্ধ করুন, নইলে আপনার পক্ষে বাঁচা দায়। তাই নিজেকে নিয়ে ভাবুন, অন্যের কথা নয়।
- যুবসমাজের জন্য একটি অন্যতম উপদেশ দিয়েই তিনি বলেন, নীল ছবি দেখা বন্ধ করা উচিত। একেবারেই এটি নয়।
- টক্সিন যুক্ত সানস্ক্রিন একেবারেই ব্যবহার করবেন না। এটি স্কিনের পক্ষে খারাপ, ভাল করে দেখে নিয়ে তারপরেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- ঘুমোতে যাওয়ার এক ঘন্টা আগে সিরিজ দেখা বন্ধ করুন। মানসিক চানচল্য এর থেকেই আসে। এবং সেই থেকেই সমস্যা চাগাড় দেয়।
- পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে একেবারেই ভুলবেন না। বিশেষ করে মা! তাকে কিন্তু সময় দিতেই হবে। জীবন অনেক সহজ হবে।
তাহলে আজ থেকে রুটিনে এই বিষয়গুলো অ্যাড করে নিন!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন