পুজো আর এক সপ্তাহ! নিশ্চই নানান কাজে ব্যস্ততা শুরু। আর বছরের এই কটা দিন কিন্তু কোমর বেঁধে একত্রে হাত লাগানোর সময়। ফাঁকি দিলে চলবে না। ঠাকুর আনা থেকে ডেকোরেশন তার সঙ্গে পুজোর ভোগ খাটনি আছে বস! তাই দরকার ভরপুর এনার্জি। শুধু জলে কিন্তু হবে না, নিজেকে ফিট আর হাইড্রেটেড রাখতে হবে।
Advertisment
জল যেমন পিপাসা মেটায় সেরকম কিন্তু এনার্জি জোগায় না। তার জন্য দরকার অন্যরকম কিছু। যেগুলি খরচ কম, তবে স্বাদে ভাল আর শরীরের ক্ষতি করবে না। তাই শরীরের প্রটেকশন নেওয়া শুরু করে দিতে হবে তো! পুষ্টিবিদ লভ নীত বাত্রা বলেন, যদি এনার্জির প্রয়োজন হয় তবে সফ্ট ড্রিঙ্কস কেন? এটি একেবারেই শরীরের জন্য ভাল না সঙ্গে নানান ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। ঠিক ঐ মুহূর্তে ভাল লাগলেও পরে কিন্তু ব্লাড সুগার আর কিচ্ছু মানবে না।
তবে তার পরামর্শ অনুযায়ী বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে সিদ্ধ ড্রিঙ্কস আছে যেগুলি একটুও শরীরের ক্ষতি করবে না সঙ্গে শক্তিও জোগাবে! সেগুলি কী কী?
• ডাবের জল : এটি ৯৫% জল তারপরেও বেশ স্বাস্থ্যকর। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এবং মিষ্টি তার সঙ্গে পে ঠান্ডা রাখে, শরীরে শক্তি প্রদান করে।
• কম্বুচা : এটি ফার্মেন্টে ড চা। ভিটামিন ডি, গ্লু কুরণিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। তার সঙ্গেই প্রোবায়ো টিক এবং অ্যাসিটিক অ্যাসিড ভীষণ মাত্রায় শক্তি প্রদান করতে সক্ষম।
• জলজীরা : এটি ছোটবেলায় অনেকেই খেয়েছেন। এবং এতে ভীষণ পরিমাণে রিফ্রেশিং একটি বিষয় থাকে তার সঙ্গে হজমের সমস্যা মেটায়। শরীরের নানা ধরনের ব্যথা বেদনা দুর করে এবং সতেজ করে তোলে।
• আখের রস : প্রোটিন আয়রন এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ যা শরীরে জোর বাড়াতে পারে। চাঙ্গা থাকতে চান তো এটি খাওয়া শুরু করুন। যদিও ডায়াবেটিক রোগীদের এর থেকে দূরত্ব রাখাই ভাল। এটি কিন্তু ক্ষুদার সমস্যা দূর করে। সঙ্গে দেহের প্রদাহ কম করে।
• ছাতু : প্রথমেই এটি পেট ঠান্ডা রাখে এবং চরম ভাবে খিদে মেটাতে পারে। ম্যাঙ্গানিজ, প্রোটিন এবং আয়রন সমৃদ্ধ সঙ্গেই শরীর বেশ শক্ত রাখে। তাই এটি বেশ কার্যকরী।
তাহলে, শরীর সুস্থ রাখতে হাবিজাবি না খেয়ে এগুলি ট্রাই করুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন