মরুভূমির জাহাজ হিসেবেই পরিচিতি সারা বিশ্বে। কিন্তু দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় এরা ক্রমেই হয়ে উঠছে 'ভিলেন'। খুব শিগগির পেশাদার বন্ধুকবাজদের দিয়ে তাই মেরে ফেলা হবে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার এওয়াইপি অঞ্চল। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শুধু যে এই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে, তাই নয়। উটের আধিক্য নাকি বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়নের মাত্রা। এক টন কার্বন ডাই অক্সাইড সারা বছরে পরিবেশের যতটা ক্ষতি করে, এই অঞ্চলের উটেদের দেহ থেকে নির্গত হওয়া মিথেনও ততটাই দূষণ স্ষ্টি করে।
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের দক্ষিণ ভাগের এওয়াইপি অঞ্চল এমনিতেই খড়া জর্জরিত। তার ওপর জল যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তা দিয়ে নিজেদের তেষ্টা মিটিয়ে নিচ্ছে কয়েক হাজার উট। প্রশাসনের তরফে একজিকিউটিভ বোর্ড সদস্য মারিটা বেকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "আমাদের সাংঘাতিক অসুবিধে হচ্ছে। অসহ্য গরমে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। তার ওপর বেড়া ভেঙে এয়ারকন্ডিশন যন্ত্র থেকে জল টেনে নিচ্ছে উটেরা"।
প্রসঙ্গত, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত না করলে এই অঞ্চলের ফেরাল উটেদের সংখ্যা প্রতি ন'বছরে দ্বিগুণ হয়ে যায়।