যেকোনও সময়ে স্কিনে আর কিছু হোক না হোক, ব্রণ হতে কিন্তু জুড়ি মেলা ভার। মাঝে মধ্যেই একটা দুটি থেকে অগুনতি এবং সেই থেকেই স্কিনে নানান ছোপ এবং লাল দাগ থেকে নানান সমস্যা। একেবারেই ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে অনেকরকম উপড়ি সমাধানের কথা অনেকেই বলেন। এটা লাগান, ওই ওষুধ ব্যবহার করুন এত কিছুর পরেও আদৌ কি কাজে দেয়?
ব্রণ কী কারণে হতে পারে? অনেকরকম কারণেই এটি হতে পারে। ঠিকঠাক খাবার না খেলে। পুষ্টিযুক্ত খাবার না খেলে, অতিরিক্ত তেল ঝাল মশলা যুক্ত খাবার, খারাপ প্রসাধনীর ব্যবহার এমনকি মাথার খুশকির কারণেও হতে পারে। সঙ্গে হরমোনাল সমস্যা তো আছেই। ডার্মাটোলজিস্ট নূপুর জৈন বেশ কিছু উপদেশের কথা বলেন। তিনি ধারণা দেন, ব্রণ তখনই হয় যখন স্কিনের তৈলাক্ত ভাব বেড়ে যায় এবং ত্বকের কোষগুলি মৃতকোষ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মানুষ সবসময় চায় দাগহীন এবং পরিষ্কার ত্বক পেতে এবং সেই কারণেই নানান পথ অবলম্বন করে। তবে শুধু খাবার দাবার নয়, জেনেটিক্স এবং মানসিক চাপ থেকেও ব্রণ হতে পারে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
ডা: নূপুর বলেন, তিনটি বিষয়ের দিকে নজর রাখলেই এর থেকে রেহাই সম্ভব এবং অবশ্যই সেগুলি অভ্যন্তরীণ। শরীর ভিতর থেকে সুস্থ থাকলে কিন্তু বাইরেও তার চিত্র ফুটে উঠবে।
প্রথম হল, ধৈর্য! কারণ হিসেবে বলা যায় নিজেকে ভীষণ ধৈর্য রাখতে হবে। যেকোনও স্কিনকেয়ারের সময় অন্তত চার সপ্তাহ দিতেই হয়, রাতারাতি এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। আমরা যারা তৎক্ষণাৎ এর থেকে রেহাই চাই সেটি একেবারেই সম্ভব না। বরং অনেকেই আছে দু - তিনদিনের মাথায় প্রোডাক্ট বদলে ফেলেন এটি কিন্তু কোনও কাজে আসে না। একমাসের মধ্যে পরিবর্তন আশা করতে পারেন।
দ্বিতীয় হল, সঠিক খাবার! ব্রণ অনেক সময় খাবারের সঙ্গে সংযুক্ত! লক্ষ্য করলে দেখা যায় প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে যে খাবারে চিনি, চর্বি এবং দুধ জাতীয় খাবার থেকে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। আপনি যদি ভারী ব্রণ ব্রেকআউটের সম্মুখীন হন তবে আপনার খাদ্যে পরিবর্তন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ডাক্তার বলেন, ভিটামিন এ এবং ই-সহ খাবারের মধ্যে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কোষের পুনর্জন্মে সাহায্য করতে পারে। ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। সকলের ক্ষেত্রে সমান নাও হতে পারে।
তৃতীয়, ব্রণ প্রবন ত্বক হলে আগে সেই দিকে লক্ষ্য রাখুন। সঠিক পণ্য গুলি বেছে নিন। অয়েল ফ্রি প্রসাধনী অথবা ক্রিম নিজের জন্য বেছে নিন। এর চিকিৎসা হিসেবে শুধু ব্রণ এলাকায় নয় বরং সম্পূর্ণ ত্বকের ওপর ছড়িয়ে দিন। সর্বত্র সমান পরিসরে ক্রিম লাগাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক। এবং এর উৎস কোন দিকে সেটি আগে নির্মূল করতে হবে। লিভারের সমস্যা থাকলে সেটিকে আগে সুস্থ করুন।
এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে তাহলেই ব্রণ থেকে রেহাই পাবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন