কমবেশী অনেক মানুষই আজকাল থাইরয়েডে ভোগেন। রোগ কিন্তু বয়স মেনে হয় না। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে হরমোনাল স্বাস্থ্য এদিক ওদিক হতেই পারে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকেই শারীরিক গরমিলের কারণে নানান ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। মূলত কোষ মেরামত এবং বিপাক নিয়ন্ত্রণে এটি ভূমিকা নেয়।
উৎপাদিত হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণেই ক্লান্তি, চুল পড়া এমনকি ঠান্ডা লাগা, কারওর ওজন বৃদ্ধি পায়, কারওর আবার ওজন কমে যায়। থাইরয়েড দুই ধরনের হয়, হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম। থাইরয়েডের সঙ্গে ডায়েটের যোগ অবশ্যই রয়েছে। সঠিক এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই দরকারি। যেমন ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রয়োজনীয় তা আছে তেমনই সয়া জাতীয় খাবার গ্রহণ না করলেই ভাল। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। দুগ্ধ জাতীয় খাবারও খেতে পারেন। কিন্তু এর সঙ্গে যে বিষয়টিতে নজর দিতে হবে কিছু কিছু এমন ফল আছে যেগুলি থাইরয়েডে যেমন উপকার দেয় তেমনই এর মাত্রাও কম করে।
• আপেল: আপেল থাইরয়েড রোগীদের পক্ষে বেশ কার্যকরী। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং ব্লাড সুগার কম করে। যার ফলেই থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিক ভাবে কাজ করে। এটি দেহকে ডিটক্সিফাই করে এবং শরীরকে সঠিক ভাবে কাজ করতে ক্ষমতা জোগায়।এছাড়াও এটি কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ থেকে মুক্তি দেয়।
• কমলালেবু: এটিও ভীষণ উপকারী এই রোগের ক্ষেত্রে। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সেই কারণেই অতিরিক্ত প্রদাহ থেকে রেহাই দিতে পারে। ত্বকের ক্ষতি রোধ করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
• অ্যাভোকাডো: এটি ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। রক্তে প্রদাহ সৃষ্টি করতে বাধা দেয়। শরীরকে ঠান্ডা রাখে সঙ্গে হরমোন ক্ষরণ একটু হলেও কম করে।
• আনারস: এটি ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এটি সহজেই ক্লান্তি দূর করে এবং রেডিক্যাল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। টক জাতীয় ফল তাই সুগারের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
ফল ছাড়াও টক দই, চিকেন, গোটা সেদ্ধ ডিম, এবং সালমন মাছ খাওয়া অভ্যাস করুন এগুলি ভীষণ কাজ দেবে। তবে প্রতিদিনের ওষুধ খেতে ভুলবেন না এবং বছরে তিন মাস অন্তর অবশ্যই পরীক্ষা করান, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন