/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/10/Mudiali-and-Badamtala-Pujo.jpg)
বামদিকে মুদিয়ালি ও ডানদিকে বাদামতলা আষাঢ় সংঘের এবছরের দুর্গাপ্রতিমা।
প্রতিবছর দুর্গাসপ্তমী আসে যায়। বাঙালি উৎসবে মেতে ওঠে। কিন্তু, জানেন কি যে এই বিশেষ দিন আপনার জীবনের ভাগ্যই বদলে দিতে পারে? দুর্গাসপ্তমীর গুরুত্ব এতটাই। কারণ, এই দিন পুজো করা হয় দেবী কালরাত্রির। দেবী কালীর পুজোর জন্য বিশেষ অমাবস্যা তিথির অপেক্ষা করেন অনেকেই। কিন্তু, অমাবস্যা না-হলেও শাস্ত্রমতে মহাসপ্তমীতেই হতে পারে ভাগ্যপরিবর্তনের সেই সব প্রক্রিয়া। কীভাবে?
ভাগ্যবদলের উপায়
এক- মহাসপ্তমীতে দেবী কালরাত্রির বীজমন্ত্র 'ওম এং হৃীং ক্লীং চামুণ্ডায়ৈ বিচ্চ্যৈ নমঃ' মন্ত্র সওয়া লক্ষবার জপ করেন অনেকে। রাত জাগেন আর দুর্গা সপ্তশতী পাঠ করেন। যার প্রভাবে দেবী কালরাত্রি সমস্ত নেতিবাচক শক্তি ভক্তের জীবন থেকে দূর করেন। তাঁকে সুখ-সমৃদ্ধির আশীর্বাদ দেন। এর মধ্যে সওয়া লক্ষ বার মন্ত্র জপ করলে তা সিদ্ধ হয়। তার পর মনস্কামনা পূরণের জন্য প্রার্থনা করতে হয়।
দুই- দেবী কালরাত্রির পুজোয় প্যাড়ার ভোগ নিবেদন করতে হয়। এতে শক্তিলাভ এবং জয়লাভ করা যায়। কোনও আইনি জটিলতায় জড়িয়ে থাকলে, তাতেও জয়লাভ হয়।
তিন- বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে কালো কাপড়ে হলুদ সরষে, ভাঙা সূচ দিয়ে মুড়ে তাবিজ শিশুর গলায় পরাতে হয়। তাতে শিশুর ওপর থাকা নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যায়।
চার- দেবী কালরাত্রিকে শশা, ক্ষীর এবং মালপোয়ার ভোগ নিবেদন করতে হয়। এতে ধন-ধান্যের বৃদ্ধি হয়। পাশাপাশি, চাকরি এবং ব্যবসার উন্নতি হয়।
পাঁচ- দেবীকে লাল জবা ফুলের মালা পরাতে হয়। ঘিয়ের ফোড়ন দিয়ে তৈরি উরদ বা বিউলির ডালের খিচুড়ি নিবেদন করতে হয়। এর পর প্রসাদ হিসেবে তা বিতরণ করতে হয়। এতে গ্রহের কুপ্রভাব দূর হয়ে যায়।
ছয়- সকালে সাতটা লাড্ডুতে সাতটা লবঙ্গ গেঁথে দিতে হয়। লবঙ্গর মুখ লাড্ডুর বাইরের দিকে রাখতে হয়। সেই লাড্ডু দেবী তামার পাত্রে কালরাত্রি বা দুর্গারূপী কালরাত্রির উদ্দেশ্যে নিবেদন করতে হয়। নিবেদনের সময় শঙ্খ বাজাতে হয়। ঘিয়ের প্রদীপ এবং ধূপ-ধুনো দিতে হয়।
সাত- দিনের বেলায় ১০৮টা আতপ চাল, ১০৮টা যব, ১০৮টা দুর্বা এবং একটা আলতা একটা নতুন শাড়িতে মুড়িয়ে দেবীর চরণে অর্পণ করতে হয়। স্বামী-স্ত্রী মিলে একসঙ্গে এই কাজ করলে, বৈবাহিক জীবনের সমস্যা দূর হয়ে যায়। একসঙ্গে সম্ভব না-হলে একজনেও করতে পারেন।
আরও পড়ুন- স্নান করানো হয়েছে সকালে, পুজোর চার দিনই থাকবেন বেদীতে, কে এই কলাবউ?
আট- এই দিন আলাদাভাবে ভগবান হনুমানের পুজো করলে তা বিশেষ ফলদায়ক হয়। দু'টি পেরেক নিয়ে হনুমান মন্দিরে গিয়ে হনুমানজির চরণের কাছে রেখে দিতে হয়। তারপর সেই পেরেক দু'টিতে হনুমানজির চরণের কমলা রঙের সিঁদুর লাগাতে হয়। এর পর হনুমান চালিশা পাঠ করতে হয়। এর পরে পেরেক দু'টিকে বাড়ির সদর দরজার দুই পাশে পুঁতে দিতে হয়। এতে বাড়ি থেকে যাবতীয় নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে য়ায়। আর, আর্থিক সংকট কাটে। উপরের সব প্রক্রিয়াগুলোই শুদ্ধ বস্ত্র পরে করতে হয়। এমনটাই শাস্ত্রমতে বিধেয়।