চুলের সমস্যায় ভোগেন এখন বহু মানুষ। পাতলা চুল হোক কিংবা ঝরে যাওয়া। চুলের রুক্ষতা, শুষ্কতা- নির্জীবতা এগুলি বর্তমান দূষণের যুগে খুব স্বাভাবিক বিষয়। অনেকেই বলে থাকেন, চুল দুমখো হয়ে রয়েছে কিংবা মাঝখান থেকে ভেঙ্গে যাচ্ছে, এমন সময় কী করবেন?
Advertisment
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ আঁচল পান্থ বলছেন, চুলের পরিচর্যায় বেশ নমনীয় হওয়া প্রয়োজন, খুব জোরে আঁচড়ানো কিংবা তোয়ালে দিয়ে ঘষা এগুলো একদম ঠিক নয়। প্লাস্টিকের চিরুনি না, কাঠের চিরুনি কিংবা বাঁশের ব্যাবহার করা বেশি ভাল। কিন্তু যে কাজগুলি একেবারেই করবেন না তাঁর মধ্যে ;
চুলে ব্লিচিং করানো একেবারেই ভাল নয়। আর যদি করাতেই হয় তবে শেডের দিকে খেয়াল রাখবেন। বেশি হালকা শেড হলেই তাতে হাইড্রোজেন পারক্সাইডের মাত্রা বাড়তে থাকে। এবং এটির কারণেই চুল আরও ভেঙ্গে যাওয়া, শুষ্ক হয়ে যাওয়া কিংবা ঝরে পড়ার সমস্যা দেখা যায়।
চুলে ঘনঘন রং করানো ভাল নয়। এতে সমস্যা বাড়তে পারে। চুলের নিজস্ব উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। তাই রং করালেও চুলের আগায় করান, গোঁড়ায় একেবারেই না।
চুলের মাস্ক সপ্তাহে একবার ব্যাবহার করুন। এতে হাইড্রেটিং নানা দ্রব্য থাকর, যা চুলের পক্ষে বেশ ভাল। চুলের আগার দুমুখো সমস্যা কমায়, উষ্কখুষ্ক ভাব দূরে করে। সঙ্গেই এস এল এস ফ্রি শ্যাম্পু ব্যাবহার করুন, এতে ক্ষার কম থাকে। কেমিক্যাল থাকে না। যদি আপনার চুলের স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হয় তবে এটিই ভাল।
ছোট দাঁতের নয়, বড় এবং চওড়া দাঁতের চিরুনি ব্যাবহার করুন। এতে চুলের ওপর আঘাত কম লাগে। এবং ভেজা চুলে হিট দেওয়া অর্থাৎ স্ট্রেটনার কিংবা গরম ড্রায়ার না দেওয়াই ভাল। এতে রুক্ষ ভাব আরও বাড়ে। প্রয়োজনে হিট প্রটেকশন স্প্রে ব্যাবহার করুন।