Advertisment

ওভারিয়ান ক্যানসার: এর ভয়াবহতা কমাতে চান? তবে এই কাজগুলি এড়িয়ে চলুন

অনিয়ম করবেন না, শরীরের হাবভাব বুঝেই চিকিৎসা করান

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্ব জুড়ে এখন প্রচুর মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। নানান ধরনের ক্যানসার তবে, নারীদেহে ব্রেস্ট ক্যানসার কিংবা ওভারিয়ান ক্যানসার এই দুটোর উপসর্গই বেশি দেখা যায়। ওভারিয়ান ক্যানসারের সূত্রপাত মেনোপোজ পরবর্তী কিংবা এর আগেও হতে পারে। সাধারণত অনিয়মিত ঋতুচক্র এবং তলপেটে ব্যথা এগুলি দেখেই আঁচ করা যায়। 

Advertisment

ফর্টিস হাসপাতালের চিকিৎসক নীতি রাইজাদা বলছেন, ওভারিয়ান ক্যানসার প্রতিবছর কম করে ৪৬,০০০ নারীকে এফেক্ট করে। অনেক সময় দেখা যায়, জেনেটিক কারণেও পরবর্তী প্রজন্মের শরীরে ছড়িয়ে পরে। ডিম্বাশয়ে এই রোগের লক্ষণ একেবারেই ভাল না। সঠিক সময় চিকিৎসা না হলে কিন্তু খুব মুশকিল, মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 

কী কী ধরনের উপসর্গ দেখা যায়?

তিনি বলছেন, বেশিরভাগ সময় প্রথম ধাপে এই রোগের আঁচ করা যায় না। সেই কারণেই পরবর্তীতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়াও, তলপেটে ব্যাথা, হজমের গোলমাল, বমি বমি ভাব, হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া, পেলভিসে অস্বস্তি ছাড়াও পিঠে-শিরদাঁড়ায় ব্যথা এবং বহুমূত্র রোগের লক্ষণ দেখা যায়। তার সঙ্গে ঋতুস্রাবের অনিয়ম তো রয়েছেই। 

কিছু সময়ে আগে এই ক্যানসার সম্পর্কে কেউই বুঝতে পারেন না। আর বেশি দেরি হলে ইউট্রাস এবং ওভারি যাতে দুটোই এর কবলে না পরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেক সময় চিকিৎসকরা বলে থাকেন, এই সময় বেশি নড়াচড়া করা উচিত নয়, তার কারণ ওভারিয়ান ক্যানসার থেকে বেশিরভাগ সময় টিউমার সৃষ্টি হয় এবং এই টুইস্ট করে গেলেই মুশকিল! 

কীভাবে এর ভয়াবহতা কমানো যায়? 

পুষ্টিকর ডায়েট এবং ব্যায়াম :- সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন ব্যায়াম এবং ভাল খাবার দাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছু ফল, শাক সবজি এবং ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার এই রোগের সাপেক্ষে ভাল হতে পারে। কম করে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের ব্যায়াম এর ভয়াবহতা ২০% কমাতে পারে। 

গর্ভনিরোধক ব্যবহার করা কমিয়ে দিন। অর্থাৎ ওষুধ কিংবা পিল বেশি খাওয়া খুব খারাপ! এর সেবন না করলে ৫০% পর্যন্ত ঝুঁকি কমে যায়, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, নইলে একদিন বিপদে পড়বেন। 

কারসিনোজেন এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে ট্যালকম পাউডার কিংবা ডিওড্রেন্ট এবং ওয়াস প্লাস গুলিতে এই ধরনের পদার্থ ব্যবহার করা হয়। যতটা পারবেন এগুলি কম ব্যাবহার করুন। 

তামাক জাতীয় দ্রব্য এড়িয়ে চলুন। ধূমপান মদ্যপান করবেন না। এর থেকে বিরাট মাত্রায় ক্যানসার ছড়িয়ে পড়তে পারে। ধীরে ধীরে এর মাত্রা কমিয়ে দিন। এবং যারা পরিবারের কারণে এই সমস্যায় ভুগছেন তাদের আগে নিজেদের জেনেটিক সম্পর্কে বোঝা উচিত। যদি পরিবারে এমন কেউ থাকেন তবে, আগে থেকেই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। 

human health Woman ovarian cancer
Advertisment