হরিতকি, আমলকী এবং বিভিতকি - এই তিনটিই সংমিশ্রণ হল ত্রিফলা। নামে অনেকেই জানেন, কেউ কেউ আবার এটিকে নিজেদের প্রয়োজনে কাজেও লাগিয়েছেন, তবে বেশিরভাগ মানুষ এটাই জানেন যে কেবলমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যায় এটি সেবন করলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। বাকি যে এটি আরও কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেই সম্পর্কে জানেন...?
Advertisment
ভেদামৃত এর চিকিৎসক বৈশালী বলছেন, আয়ুর্বেদের এই উপাদান প্রসঙ্গে অনেকেই জানেন। তবে শুধু একটি ক্ষেত্রে এটিকে ব্যবহার করার বিষয়টি সকলে মানেন। তবে এর আরও অনেক গুণ আছে, যেগুলি জানলে সহজেই অবাক হবেন। ভিন্ন ভাবে একে ব্যবহার করা যায়, নানান সমস্যায় নানান ভাবে এর সেবন মানবদেহে অনেক উপকার করতে পারে।
চুলের ক্ষেত্রে :- ৩০০ থেকে ৪০০ মিলি জল ফুটিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ ত্রিফলা পাউডার মিশিয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা করে হালকা মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। এবং শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নেওয়ার পর এটিকে কন্ডিশনার রূপে ব্যাবহার করতে হবে। ত্রিফলা দিয়ে ধোয়ার পর আর জল দেবেন না চুলে।
উপকার :- চুলের মজবুতি এবং খুশকি তথা ডগা ফেটে যাওয়ার মত সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে।
ব্রণর ক্ষেত্রে :- ১/২ চামচ ত্রিফলা পাউডারের সঙ্গে ১/২ চামচ মুলেঠি পাউডার মিশিয়ে নিতে হবে। একচামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নেওয়ার পর হালকা জল দিয়ে একটু পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। গোটা মুখে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। একেবারে শোকানোর আগে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
উপকার :- ব্রণর সঙ্গে সঙ্গে মেছেতার দাগ আস্তে আস্তে কমে যায়। ব্ল্যাকহেডস কমে যায়।
দেহের ক্ষেত্রে :- এক টেবিল চামচ ত্রিফলা, এক চামচ লাল চন্দন পাউডার, অল্প জল, তিলের তেল, মধু মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। সারা দেহে মেখে ৫ মিনিট থাকুন, হালকা রাব করে তুলে ফেলুন।
উপকার :- এক্সফলিয়েট হিসেবে দারুণ কাজ করে। মৃত কোষকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং স্কিনের মাত্রা উন্নত করে।
তবে যে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে অনেকদিন ধরে এটি করতে থাকলে কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরে না হয়ে শরীরের হাল হকিকত বদলে যাবে। সঙ্গেই হজমের সমস্যা দেখা দেবে। সহজে ঘুম আসবে না, তাই বেশি পরিমাণে এটি একেবারেই নয়।